সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কম এর উপদেষ্টা সম্পাদক পদে যোগ দিলেন দৈনিক নয়া পয়গাম’র সাবেক নির্বাহী সম্পাদক এস এম ইউসুফ আলী।মঙ্গলবার(০২ মার্চ)পত্রিকাটির রাজধানীর উত্তরাস্থ প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক মো. শাহিদ আজিজ,নির্বাহী সম্পাদক নুসরাত চেীধুরী ও বার্তা সম্পাদক মো. ইয়ামনি চৌধুরী মারুফ।
এর আগে রোববার(২৮ ফেব্রুয়ারী)পত্রিকাটির সম্পাদক শহিদ আজিজ এ পদের জন্য তাঁকে নিয়োগ প্রদান করেন।সোমবার(০১ মার্চ)থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পত্রিাটির প্রকাশক জোহরা আক্তার জানান,মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কম এর উপদেষ্টা সম্পাদক পদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এস এম ইউসুফ আলী এর আগে সাপ্তাহিক নির্ভীক’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,সাপ্তাহিক শমসের নগর’র নির্বাহী সম্পাদক,সাপ্তাহিক ফেনী খবর’র নির্বাহী সম্পাদক,জাতীয় সাপ্তাহিক শুচিতার বার্তা সম্পাদক এবং মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক আজকালের খবর এবং দৈনিক দেশ বাংলা’র ফেনী জেলা প্রতিনিধি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি দৈনিক অধিকার এর ফেনী, নোয়াখালী,লক্ষীপুর,কুমিল্লা, চাঁদপুর ব্যুরো প্রধান ও দি নিউজ টুডে’র ফেনী জেলা প্রতিনিধি এবং ফেনী রিপোর্ট ডট কম এর প্রধান সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন।
দায়িত্ব পালন করেছেন ফেনী প্রেস ক্লাব ও ফেনী অনলাইন প্রেস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক পদেও।
২০০১ সালের শুরুতে ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি)’র প্রশিক্ষণ নিয়ে সংস্থাটির লোক সংবাদ পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে সাংবাদিকতায় প্রবেশের পর থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময় হামলা-মামলা ও নানা হুমকীর শিকার হয়েছেন তিনি।
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মিথ্যা অভিযোগে আইসিটি মন্ত্রনালয়ে হাজির হয়ে নিজের পক্ষে উপযুক্ত প্রমানাদি দাখিল করে সম্মানের সাথে অব্যহতি পেয়েছেন তিনি।
আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী সোনাগাজীর নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ‘ফেনীতে নানা অপরাধের অন্তরালে পুলিশের শক্তিশালী সিন্ডিকেট’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের পর জেলার তথকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গির আলম সরকারের আক্রোশে পডেন তিনি।ফেনীর বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলার চার্জসীটে সাংবাদিক এস এম ইউসুফ আলীসহ জেলার আরও ৩ সাংবাদিকের নাম ঢুকিয়ে দিয়ে কৌশলে ফেনী ছাড়েন এসপি জাহাঙ্গির।এসব মামলার এজহারে এই ৪ সাংবাদিকের নাম না থাকলে সম্পূন্ন অন্যায়ভাবে নিজের ক্ষোভ মিটিয়ে নেন তিনি।
পরে ঘটনা জানাজানি হলে নিন্দার ঝড় উঠে সাংবাদিক সমাজসহ সারাদেশে। সব কয়টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে (দুটি ধারায় বিভক্ত প্রায় ২৩টি মামলায়)এখন ফেনীর আদালতে সাপ্তাহে ৩ থেকে ৫দিন হাজিরা দিতে হচ্ছে এস এম ইউসুফ আলীসহ সাংবাদিকদের।