পাঠচক্রে বইটি নিয়ে আলোচনা করেন প্রচার সম্পাদক নাজিফা আনজুম। তিনি বলেন, ‘কাশীপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক গফুর। তার মেয়ে আমিনার সঙ্গে সে কোনোরকমে একটি জীর্ণ ঘরে জীবন যাপন করে। তার পরিবারের সদস্য বলতে তারা দুজন আর মহেশ। সে যে গ্রামে থাকে, সেই গ্রামের জমিদার শিববাবু ও তার পণ্ডিত তর্করত্ন তাকে গরুর প্রতি অবহেলার দায়ে অভিযুক্ত করে। তারা গো শব্দের শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা করে গফুরকে বোঝালেও নিজেরা গরুকে খাওয়ার জন্য খড় দিতে অস্বীকার করে। টাকার লোভে গ্রামে গরু চরে বেড়ানোর একমাত্র মাঠ বিক্রি করে দেয়। গল্পের শেষে একটি ঘটনায় মেজাজ হারিয়ে গফুর তার মহেশকে লাঙলের ফলা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে, যে মহেশকে সে তার “ছেলে” বলে অভিহিত করেছিল। এরপর সে গ্রামে থাকা সবকিছু ফেলে ফুলবেড়ের চটকলে কাজ করতে চলে যায়। যাবার পথে ওপরওয়ালার কাছে যারা মহেশের খাবার ঘাস কেড়ে নিয়েছে, খাওয়ার পানি কেড়ে নিয়েছে, তাদের কসুর মাফ না করার ফরিয়াদ জানায়।’
2025-02-10
