সবুজ বিস্তর মাঠ। মাঠের কয়েক জায়গায় গ্রুপ করে বন্ধুবান্ধব মিলে বসে আছে, আবার কোথাও বাদাম, ঝালমুড়ি নিয়ে হকার হাঁকডাক দিচ্ছে। নদীর পাড়ে পা মেলে গল্প করতে করতে বিকেল নেমে এল ভীষণভাবে। রোদের তীব্রতা কমতে থাকল। পথচারীদের আনাগোনা বাড়ছে। এদিকে সাদমান আর রূপন্তীর কত কত গল্প যে শুরু হয়েছে শেষ-ই হতে চায় না। সন্ধ্যা নামার আগে ফুচকা খেতে খেতে তাদের পরবর্তী গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে যেন আরেক অধিবেশন শুরু হলো। পাখিরা নীড়ে ফিরছে। ফুটপাতের বাতিগুলো জ্বলে ওঠছে। পাশের রাস্তায় ছুটে চলা ব্যাটারিচালিত রিকশা আর ইজিবাইকে বাতি জ্বালিয়ে চলে যাচ্ছে পাশ কাটিয়ে। কেউ কেউ অযথাই হর্ন বাজাচ্ছে। সন্ধ্যার এই সময়ে যেমন পাখির কিচিরমিচির তেমনি মানুষের ভিড়ে শব্দেরা যেন অন্যরকম প্রাণ ফিরে পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *