নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের উদ্বেগে কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। নতুন করে আরোপিত বিধিনিষেধ জ্বালানি তেলের চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
নিউইয়র্কভিত্তিক এনার্জি ফিউচারস মিজোহুর পরিচালক বব ইয়োগার বলেন, কভিড-১৯ সংক্রান্ত উদ্বেগ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা নিম্নমুখী করে তুলতে পারে। ফলে চাপের মধ্যে পড়তে পারে জ্বালানি পণ্যের বৈশ্বিক বাজার।
শুক্রবার আইসিই ফিউচারস ইউরোপে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১ ডলার ৫০ সেন্ট বা ২ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে ৭৩ ডলার ৫২ সেন্টে।
একই দিন নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ ডলার ৫২ সেন্ট বা ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে ৭০ ডলার ৮৬ সেন্টে। চলতি সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলনে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত আছে। নভেম্বরে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক উত্তোলন বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বৈশ্বিক সরবরাহও। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)।
জোটটির মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নভেম্বরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলন গড়ে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। আগের মাসের তুলনায় উত্তোলন বেড়েছে দৈনিক ২ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল করে। সৌদি আরব, ইরাক ও নাইজেরিয়া উত্তোলন বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। তবে অ্যাঙ্গোলা, লিবিয়া ও কঙ্গোয় উত্তোলন কমেছে। বৈশ্বিক উত্তোলনে ওপেকের হিস্যা অক্টোবরের মতোই ২৮ দশমিক ২ শতাংশে অপরিবর্তিত ছিল।