পড়া মুখস্ত করে দিতে না পারায় ছয় বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে শিক্ষক হাফেজ আবু আক্কাস হেলালী গাছের গুঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। হাত ভেঙে দিয়েই খ্যান্ত হয়নি শিক্ষক আক্কাস, চার দিন শিশুটিকে মাদ্রাসায় আটকে রেখেও চিকিৎসা দেয়নি। যুগান্তর

সোমবার শিশু আব্দুল্লাহকে মা পারুল বেগম উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার আমতলী পৌর শহরের একে স্কুলসংলগ্ন দারুল আরকাম মডেল মহিলা মাদ্রাসায়।

জানা গেছে, উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের প্রবাসী হারুন হাওলাদারের ছয় বছরের শিশুপুত্র আব্দুল্লাহকে আমতলী পৌর শহরের একে হাই স্কুল সংলগ্ন দারুল আরকাম মডেল মহিলা মাদ্রাসায় সেপ্টেম্বর মাসে নুরানী বিভাগে ভর্তি কর হয়। ওই থেকে শিশু আব্দুল্লাহ ওই মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করে আসছে।

গত বৃহস্পতিবার পড়া মুখস্ত করে দিতে পারেনি শিশু আব্দুল্লাহ। এতে শিশু আব্দুল্লাহকে শিক্ষক হাফেজ আবু আক্কাস হেলালী গাছের গুঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এতে শিশুর বাম হাত ভেঙে যায়। কিন্তু শিক্ষক আক্কাস এ বিষয়টি শিশুর পরিবারকে না জানিয়ে চার দিন মাদ্রাসায় আটকে রাখেন।

সোমবার সকালে শিশুর খোঁজ নিতে মা পারুল বেগম মাদ্রাসায় যান। ওই সময় শিশুর হাত ভাঙা দেখে তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক আক্কাসের কাছে বিষয়টি জানতে চান। পরে শিশুটির মা শিশুটিকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

শিশু আব্দুল্লাহ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মুই পড়া পারি নাই হেই লাই মোরা হুজুরে পিডাইছে।

শিশু আব্দুল্লাহর মা পারুল বেগম অভিযোগ করে বলেন, পড়া মুখস্ত করে দিতে না পারায় আমার শিশুপুত্রকে শিক্ষক আক্কাস গাছের গুঁড়ি (চলা) দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে চার দিন মাদ্রাসায় আটকে রেখেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এ বিষয়ে দারুল আরকাম মডেল মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আবু আক্কাস হেলালী মোবাইল ফোনে পরিচয় না দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানান।

আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *