অবশেষে ভাগ্য প্রসন্ন হলো রুবেল হোসেনের। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন সাইফুদ্দিন, তার জায়গায় বদলি খেলোয়ার হিসেবে দলে জায়গা করে নিলেন রুবেল হোসেন ।
আইসিসি ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটি রুবেলকে বিশ্বকাপের মূল দলে সংযুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদন দেয়। রুবেল বিশ্বকাপ দলে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ছিলেন।
পিঠের ইনজুরিতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন সাইফউদ্দিন। গত কিছুদিন ধরেই ব্যথায় কাবু ছিলেন এই পেসার। খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। এবার তার বিকল্প খুঁজে নিল বাংলাদেশ দল। এর আগেও একাধিকবার এভাবেই ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন দল থেকে। এবার বিশ্বকাপ মিশনটাই শেষ হয়ে গেল তার।
এই সুযোগে মূল দলে জায়গা পেলেন রুবেল। অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে দলের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ১৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন রুবেল। যারমধ্যে রয়েছে ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সাইফউদ্দিনের সর্বনাশে এবার পৌষমাস ৩১ বছর বয়সী রুবেলের।
সাইফউদ্দিনের পিঠের এই চোট বেশ পুরোনো। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ব্যাক ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। সে সময়ে প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটা ম্যাচ খেলেছিলেন ইনজেকশন নিয়ে। তবে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে আবার ব্যথা বাড়ে তার।
সে ব্যথা টেনে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপ পর্যন্ত। যার জন্য খেলতে পারেননি বিশ্বকাপের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেখান থেকে ফিরে জিম্বাবুয়ে আর আফগানিস্তানকে নিয়ে ঘরের মাঠে হয়ে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নেমেছিলেন সাইফউদ্দিন। কাল হয়েছে সেটাই। পিঠের ইনজুরিতে দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয় তাকে। খেলতে পারেননি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসর।
এরপর অনেক লড়াই শেষে পিঠের ব্যথা থেকে সেরে উঠেছিলেন । এবার বিশ্বকাপে গিয়ে আবার পুরোনো ব্যথা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। যা থেকে মুক্তি মিলল না, বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেল এই তরুণ অলরাউন্ডারের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ নাইম শেখ, কাজী নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও রুবেল হোসেন।