২৩ বছর আগে আজকের দিনে অর্থাৎ, ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৈরি হয়েছিল এই সার্চ ইঞ্জিন। ১৯৯৮ সালে এই দিনেই স্যান্ডফোর্ডের দুজন ছাত্র তাদের পেপার পাবলিশ করেন। সেখানে ‘লার্জ স্কেল সার্চ ইঞ্জিন’-এর প্রোটোটাইপ সামনে আনেন। ঘরে বসেই ব্যাকরাব নামে সার্চ ইঞ্জিন পোর্টাল তৈরি করেন তারা।। ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনের সেই ধারণা প্রকল্পই আজকের গুগল। এটিই বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন এখন।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর গুগল ২৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন করছে। বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ ডুডল তৈরি করে জন্মদিন উদযাপন করেছে।
এবারের জন্মদিনে ডুডলকে অনেকটাই সাদামাটা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ডুডলে শোভা পাচ্ছে জন্মদিনের অপরিহার্য একটি জিনিস, আর তা হচ্ছে ‘কেক’। কেকের উপরে জলন্ত মোমবাতি দ্বারা গুগলের ‘এল’বর্ণটি প্রকাশ করা হচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল জন্মদিনের বিষয়টি গুগল তাদের ২৩ তম জন্মদিনের ডুডলে প্রদর্শন করছে।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের দুই শিক্ষার্থী ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনের প্রকল্প হিসেবে শুরু করেছিল এ সার্চ ইঞ্জিন। এখন সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ও ইন্টারনেটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুগল। এই জুটি একটি বড় আকারের অনুসন্ধান ইঞ্জিনের প্রোটোটাইপ তৈরি করা নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তাঁরা চেয়েছিলেন এমন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে, যার মাধ্যমে অন্য ওয়েবপেজগুলোর একটা তুলনামূলক তালিকা করা যাবে। এর ভিত্তি হবে অন্য ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে কতগুলো তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে ।
গুগল নামটি আসলে এসেছে গাণিতিক হিসাবের গোগল (googol) ভুল করে লেখার মাধ্যমে, যার মানে হলো ১ এর পর ১০০টি শূন্য। এ নিয়ে এখন গল্প প্রচলিত আছে যে, একজন প্রকৌশলী বা ছাত্র আসল নামের বদলে এই ভুল বানানটি লিখেছিলেন। সেই ভুল নামই পুরো দুনিয়ার সামনে চলে আসে। কেন এই নাম বেছে নিয়েছিলেন ল্যারি আর সের্গেই? তাদের ওয়েবসাইট যে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত ঘাঁটাঘাঁটি, অনুসন্ধান করবে, সেটা এই নাম দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন তারা।