যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়ালো মঙ্গলবার সকালে। মৃত্যু হয়েছে মোট ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭৯ জনের। এরমধ্যে হাজারখানেক বাংলাদেশিও রয়েছেন। এখনও বেশ কিছু প্রবাসী হাসপাতাল অথবা বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত ১৪ দিনে আক্রান্তের দৈনিক হার ছিল ১৩২১৩৫ অর্থাৎ আগের চেয়ে ১২%। তবে মৃত্যুর সংখ্যা দৈনিক গড়ে ১৩৮৬ জন করে হওয়ায় আগের ১৪ দিনের চেয়ে গত ১৪ দিনে বেড়েছে ৩১%। ডেল্টা ধরনের করোনায় পুনরায় কাবু করে ফেলেছে আমেরিকানদের। এজন্যে টিকা প্রদানের কার্যক্রমে সকলকে অংশগ্রহণের অনুরাধ জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউজসহ কট্টর রিপাবলিকান স্টেটসমূহের গভর্ণরদের পক্ষ থেকেও। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুবরণকারীর ৯৮% টিকা নেয়নি বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জানান।
সিডিসি সূত্রে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৭% আমেরিকান পূর্ণ ডোজের টিকা নেয়নি। এমনকি কোন স্টেটেই জনসংখ্যার ৭০% এখন পর্যন্ত পূর্ণ ডোজের টিকা নেননি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশী হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটে। আইডাহো, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাসে সংক্রমণের হার বেড়েই চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে করোনার গতিপ্রকৃতি আলোকে প্রদত্ত বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস তথা ফোর্থ জুলাই থেকে আমেরিকানরা করোনা-মুক্ত পরিবেশে জীবন-যাপন শুরু করতে পারেন তেমনভাবেই টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সে প্রত্যাশার পরিপূরক পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। যদিও অনেক স্টেটেই সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর নেই বলে লোকজনের চলাফেরায় অনুমিত হচ্ছে। সর্বশেষ লেবার ডে উইকেন্ডেও বিমানে ভ্রমণের হার করোনার আগের অবস্থায় ফিরে বলে এফএএ সূত্রে বলা হয়েছে। এমনি একটি অবস্থায় সামনের সপ্তাহে অধিকাংশ পাবলিক স্কুলে সশরীরে ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত বেকার ভাতাও বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত এক কোটির বেশি আমেরিকান বেকার রয়েছেন বলে শ্রম দফতরের তথ্যে প্রকাশ।