সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রূপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। যা নাড়িয়ে দিয়েছে সারা দেশ। এই ঘটনায় পক্ষ বিপক্ষে অনেক কথাই উঠছে। ছড়াচ্ছে নানা গুজবও। যেগুলোর কোনো ভিত্তি পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝখান দিয়ে এসব নানা গুজবে এই অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন এই ঘটনায় হাসেম ফুড কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়াতে পারেন না।
একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে হিসেবে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল। এই দুর্ঘটনার পর তাদের উচিত এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা ৷
অবশ্য সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর তার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। যাবতীয় চিকিৎসা খরচ প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়ার কথাও বলেছেন তারা। আগে যেমন এসব শ্রমিকদের পাশে ছিলেন, সামনের দিনগুলোতেও থাকবেন তারা। সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া আরও জানা গেছে,এরইমধ্যে গত ১৩ জুলাই কারখানার শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ১৫ জুলাই ওভারটাইম ও ১৬ জুলাই ঈদ বোনাস দেওয়ার কথাও শ্রমিকদের জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
তবে আমরা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতে চাই ,দেখতে চাই – এসব যেন শুধু কথার কথা না হয় ৷ তাছাড়া কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে উনার নিজেরই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করা উচিত। নিজের হাতে তাদের আর্থিক সহায়তাসহ নানা সাহায্য দেয়া উচিত। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের যেমন নিরাপদ ব্যবস্থা সহ অন্যান্য বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত ,ঠিক তেমনি শ্রমিক ভাই-বোনদেরও উচিত এসব ব্যাপারে ভবিৎষতে সচেতন থাকা। কারণ এই দুই পক্ষের সমন্বয়েই একটি সফল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। যা দেশের সামাজিক -অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখে। ভবিৎষতে এধরণের মর্মান্তিক ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হোক সেটাই সবার কামনা।