মশার আশ্রয়স্থল ধ্বংস করতে হবে, ব্যবহার করতে হবে মশারি ও মশা তাড়ানোর ওষুধপাতি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপ-পরিচালক ডা. জহিরুল করিম বলেন, সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া সংক্রমিত এলাকা হচ্ছে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল, সিলেট বিভাগ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও শেরপুর ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে কুড়িগ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি।

তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য অসুখ। তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমবে। বৃষ্টির জল জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। যে কোনো পাত্র, ডাবের খোসা বা গাড়ীর টায়ারে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে জলাবদ্ধ জায়গা ভরাট করে ফেলতে হবে। স্থায়ী আবদ্ধ জলাশয়ে শুককীট খেকো মাছ চাষ করতে হবে এবং পানির কিনারায় ঘাস ছেঁটে রাখতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে কীটনাশক ছিটিয়ে মশা ধ্বংস করতে হবে। বাড়ি ও চারপাশে বেড়ে ওঠা অপ্রয়োজনীয় ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করতে হবে।

ম্যালেরিয়ার প্রাথমিক উপসর্গগুলো হলো: অত্যাধিক জ্বর ও গা-ব্যথা, মাথাব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, ও বমি। বাচ্চাদের মধ্যে ম্যালেরিয়া বেশী মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হতে পারে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যালেরিয়া থেকে নিরাপদ থাকার উপায় মশারী এবং মশানাশক ঔষধ ব্যবহার। এছাড়াও বাসা-বাড়ীর জানালায় স্ক্রিন (জাল) লাগাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *