ফ্রান্সের একটি জায়গায় বাসিন্দার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে গিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন। কিন্তু দর্শনপ্রত্যাশীদের কাতারে দাঁড়িয়ে থাকা একজন হঠাৎ মাক্রোঁর মুখে চড় বসিয়ে দেন। এর একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন, কী কারণে ওই ব্যক্তি প্রেসিডেন্টকে এভাবে চড় মারলেন?

ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের দ্রোমে এলাকায়। ফরাসি সংবাদমাধ্যম বিএফএম টিভি ও আরএমসি রেডিওর বরাতে আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোমরসমান উচ্চতার ব্যারিকেডের এক পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের দিকে এগিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। সবুজ রঙের টি–শার্ট, সানগ্লাস ও মাস্ক পরা একজনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু ওই লোকটি তখন প্রথমে কুশল বিনিময়ের জন্য এক হাত বাড়িয়ে দেন। আর অন্য হাতে প্রেসিডেন্টকে চড় মারেন। সেইসঙ্গে লোকটিকে বলতে শোনা যায়, ‘মাখোঁনিয়ার পতন হোক’।

তখন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের মধ্যে দুজন এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে মাটিতে ফেলে দেন। আরেকজন প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে নেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেসিডেন্টকে আবার সেখানে এসে ব্যারিকেডের অপর পাশের কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।

প্রেসিডেন্ট মাখোঁকে আঘাতকারী ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। কেন তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা–ও স্পষ্ট হয়নি। তবে অনেকে মনে করছেন, তিনি কোনো কারণে হয়তো প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষুব্ধ, যা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে।

এদিকে এই ঘটনার আগে করোনার পর মানুষ কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে তা জানতে রেস্টুরেন্ট কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন মাক্রোঁ।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে,  এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বলেছেন, ঘটনাটি গণতন্ত্রের প্রতিবন্ধক। আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন, আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ মাসে আঞ্চলিক নির্বাচন সামনে রেখে গত সপ্তাহ থেকে ম্যাক্রোঁ ছয় সপ্তাহের রাজনৈতিক সফর শুরু করেন। পরের বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য ম্যাক্রোঁ আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত দুটি আঞ্চলিক সফর করবেন।

গ্রেফতার দুজন তারা পুলিশের কাছে পরিচিত নয়। একজনের বিরুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টকে আঘাত করার অভিযোগ করা হয়েছে।  অন্যজন তার সঙ্গে ছিলেন।

স্থানীয় পাবলিক প্রতিকিউটর অ্যালেক্স পেরিন বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৭৫০ ডলার জরিমানা করা যেতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *