দুবছর হলো নগদের বয়স। ‘নগদ‘ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ আদান-প্রদানের ডিজিটাল পরিষেবা। মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে গ্রাহকের খুব কাছে পৌঁছাতে পেরেছে নগদ। কম খরচে সেবা দেয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় নানা কাজ করে আসছে রাষ্ট্রীয় এ পরিষেবাটি।
৩০মে দারুণ এক নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। নগদ অ্যাকাউন্টে পাঠানো সরকারি উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি চক্র। গ্রামের সরলমনা গ্রাহকের কাছ থেকে গোপন নম্বর নিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়েও নিয়েছিলো চক্রটি। এপ্রিলে মামলা হওয়ার পর তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে ডিবি। ডিবির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত । সে চক্রের তিনজন ৩০ মে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন, রংপুর মিঠাপুকুরের মো. আসাদুল ও আবু বক্কর সিদ্দিক এবং নরসিংদীর খবিরুল ইসলাম।
অন্যদিকে ২০১১ সালে দেশের প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে বৃহত্তর গ্রাহক সৃষ্টি করেছে বিকাশ। তবে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রতারক চক্র ধরতে পারেনি তারা। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া এ মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় প্রতিনিয়তই প্রতারণার খবর পাওয়া যায়। তবুও তাদের কোনো আইনি তৎপরতা এখনো সেভাবে নজর কাড়েনি।
বিকাশ দশ বছরে যা করতে পারেনি, নগদ দু‘বছরের মাথায় সেটা করে দেখালো। যা দেশের মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে।