প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত দেড় মাসে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বর্ণনাতীত। তবে দু’দিন ধরে দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে, এটা আশার আলো। কিন্তু নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জনের মধ্যে করোনার ‘ভারতীয় ধরন’ শনাক্ত হয়েছে। তাদের সাতজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। অথচ তারা কেউ কখনও ভারত ভ্রমণ করেননি। এতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক এই ধরনটির কমিউনিটি বা সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে। এই সংক্রমণ ঠেকাতে সাত জেলার সীমান্তজুড়ে এক রকম ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনসহ সচেতন নাগরিকেরা। অতি সংক্রমিত অঞ্চলগুলোতে আসতে পারে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা। সীমান্তবর্তী জেলায় ঈদ করে কর্মস্থলে ফেরার কারণে অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়েছে করোনা।
করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্তের খবর শুক্রবার প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওই সাতজনের পাঁচজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠজনের বয়স ১৩ বছর। একজনের বয়স ৩০ বছর, আরেক জনের ২১ বছর। বাকি দু’জন হলেন ৫২ বছর বয়সী এবং ২৭ বছর বয়সী। বাকি দু’জন নারী। নারী দু’জনের বয়স একজনের ২৭ বছর, আরেকজনের ৩১।
করোনাভাইরাসের এ ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ’ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরনটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে সব মিলিয়ে ২৩ জনের শরীরে ওই ধরনটি পাওয়া গেল। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৩ ব্যক্তির নমুনা নিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
এদিকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরাতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সীমান্ত-সংলগ্ন জেলাগুলোতে করোনার ভারতীয় ধরন ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সাতজনের দেহে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ায় উৎকণ্ঠিত জেলাবাসী। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার লোকজন বেশি আতঙ্কিত। সোনামসজিদ এলাকায় ট্রাকচালকদের অবাধ বিচরণ আতঙ্কের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সোনামসজিদ এলাকার লুৎফর রহমান বলেন, ভারত থেকে যেভাবে দেশটির ট্রাকচালক ও এর সহকারীরা আসছেন এবং বাইরে ঘোরাফেরা করছেন এতে তারা আতঙ্কিত।
এদিকে জেলায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণার চতুর্থ দিনের মাথায় শুক্রবার শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ৩২৬টি নমুনার ফলাফল না আসায় গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে এর আগের দিন নতুন আক্রান্তসহ মোট আক্রান্ত এক হাজার ৫৬৭ জন। গত এক সপ্তাহে জেলায় ১০ জনের মৃত্যুসহ এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেছেন, যে সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে তাতে আতঙ্কের কিছু নেই। তাদের ভারত ভ্রমণের তথ্য নেই। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন তারা। তিনি জানান, আক্রান্তদের নমুনা গত ১৯ মে সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে শিবগঞ্জের দু’জনের নমুনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এবং কয়েকজনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে সংগ্রহ করা হয়। আক্রান্ত সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী মেডিকেলে আইসোলেশনে ছিলেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের পঞ্চম দিন গতকাল শনিবার শহরের রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছিল পুলিশি টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। শহরের প্রবেশপথগুলোতে ছিল পুলিশের কড়া তৎপরতা। শহরের দিকে আসা মোটরসাইকেল চালকদেরও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পথচারীদেরও পড়তে হয়েছে পুলিশি জেরার মুখে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া প্রায় সব দোকান বন্ধ।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিকেলে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২০০ ব্যক্তি করোনা ‘পজিটিভ’ হয়ে ও এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এর আগে কখনও হাসপাতালটিতে একসঙ্গে এতসংখ্যক রোগী ভর্তি থাকেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গতকাল দুপর ১২টা পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯১ জন। এর মধ্যে করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬০ জন। ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে বাকি ১৩১ জনের। ভর্তি রোগীদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৪ জন ও রাজশাহীর ৭২ জন। এর বাইরে নাটোরের ৯ জন, নওগাঁর ৬ জন, পাবনার ৪ জন, সিরাজগঞ্জের ২ জন, কুষ্টিয়ার ৪ জন রয়েছেন।
যশোর অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সব ক’টির ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। তারপরেও ভয় কাটেনি এখানকার মানুষের। পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ব্যাপারে সরকারি নজরদারি থাকলেও ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক ও হেলপাররা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
যশোরে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮০০ জন। মৃত্যু ৭৮ জন। করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ হবার পর এ পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে আটকেপড়া চার হাজার ২৫ জন বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরেন। যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ নিয়ে ফেরা পাঁচ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে যশোর হাসপাতালে আক্রান্ত ৪৭ জনের মধ্যে ১৪ জন ভারতফেরত।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা বাউলি গ্রামে একই পরিবারের পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ খবরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন বলেন, ১৯ মে প্রথম তার বড় ভাই অসুস্থ বোধ করেন। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সর্বশেষ দু’দিন আগে তিনি এবং তার স্ত্রী অসুস্থ হলে হাসপাতালে এসে নমুনা দেন। শুক্রবার তাদেরও পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এদিকে সর্বশেষ গত ২০ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে আসা ১৬ যাত্রীকে ঝিনাইদহ এইড কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে গত ২৭ মে একই পরিবারের তিনজনের করোনা পজিটিভ এলে তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে ভারতফেরত দুই শতাধিক যাত্রীর মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ হঠাৎ করেই ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় তাদের মধ্যে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে গত বুধবার ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ। মঙ্গলবার ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয় ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায়। শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। সোমবার ৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা করে ২৮ জন অর্থাৎ ৪১ শতাংশের বেশি শনাক্ত হয়েছিল। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য পওয়া গেছে।
সীমান্তবর্তী এ জেলায় হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সাতক্ষীরাকে লকডাউন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, ঈদের এক সপ্তাহ পর থেকে হঠাৎ করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সাতক্ষীরায় আসে। অধিকাংশ মানুষ মাস্ক পরেনি, মানেনি স্বাস্থ্যবিধি। যে কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দরকার জেলাব্যাপী কঠোর লকডাউন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) সভা করে লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, গত ১২ দিনে ভারত থেকে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন ৭০৬ জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১২। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, ভারত থেকে পিসিআর টেস্ট সনদ নিয়ে দর্শনা চেকপোস্টে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের হেলথ স্ট্ক্রিনিং ও করোনা পরীক্ষা করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে পজিটিভ রোগীদের হাসপাতালে এবং নেগেটিভ যাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার গত এক সপ্তাহে ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনমনে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, এই অবস্থা চলতে থাকলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। স্বয়ং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মাঠে নেমে মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণসহ সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার নাটোরে সর্বাধিক ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, মানুষকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সংক্রমিত এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়াসহ পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সংক্রমণ রোধে মানুষকে সচেতন করতে যা যা করা প্রয়োজন, সবই করা হবে।
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরও তিনজনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের দু’জন পুরুষ ও একজন নারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় করোনা পজিটিভ ফল জানার পরই তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। এই স্থলবন্দর দিয়ে গত এক মাসে এক হাজার ১৮৪ জন দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ জন।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, নতুন শনাক্ত হওয়া তিনজনের করোনার ধরন ভারতীয় কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যাদের ১৩ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জফেরত ও তাদের পরিবারের সদস্য। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার-পাঁচটি পরিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান এলাকায় থেকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসা করেন। ঈদুল ফিতরের সময় ১২ জন বাড়ি গিয়েছিলেন। সম্প্রতি তারা বাড়ি থেকে ফিরে আসেন। ফেরার পর তারাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেছেন, সংক্রমিত ব্যক্তিরা করোনার ভারতীয় ধরন বহন করছেন কিনা, তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য লিখিতভাবে জানানো হবে।