চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মাঠে নামার আগে ইতিহাস কথা বলছিল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ম্যাচেও দেখা গেল তার ছাপ।

তবে ইতিহাস লেখা হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘অল ইংলিশ’ ফাইনালে পেপ গার্দিওলার সিটিকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল টমাস টুখেলের চেলসি। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে যা দলটির দ্বিতীয় শিরোপা।

শনিবার পর্তুগালের পোর্তোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতে নেয় চেলসি। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেছেন কাই হাভার্টজ।

স্তাদিও দো দ্রাগোতে পোর্তোয় ১৬ হাজার ৫০০ দর্শকের সামনে হয়েছে ম্যাচটি। প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা সিটি বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে ছিল সুযোগ তৈরিতে। বলতেই হবে, যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি।

২০১২ সালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছিল চেলসি। এবারের শিরোপা দিয়ে ৯ বছরের অপেক্ষা ফুরোল তাদের।

প্রিমিয়ার লিগে ম্যানসিটি সেরা হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে সেরা চারে থেকে লিগ শেষ করা সিটিই।

চেলসি কোচ সিটি গত বছর ফরাসি ক্লাব পিএসজিকেও ফাইনালে নিয়ে যান। যদিও শিরোপা জেতা হয়নি। এবার অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মেতেছেন দলকে টানা দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তোলা এই কোচ।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় সিটি। আন্টোনিয়ো রুডিগারের সঙ্গে সংঘর্ষে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় কেভিন ডি ব্রুইনাকে।। চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন সিটি অধিনায়ক। চেলসি অবশ্য প্রথমার্ধেই এমন ধাক্কা খায়। ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে।

ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আগুয়েরোর এটিই ছিল শেষ ম্যাচ। সিটি অধ্যায়ের শেষটা তার রঙ্গিন হলো না। যদিও ইংলিশ ক্লাবটির পক্ষে সর্বকালের সেরা গোলস্কোরার তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *