বেশিরভাগ গণমাধ্যমে বলা হয়েছে প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৯ টাকা। কিন্তু ইত্তেফাক, বিডিনিউজ, সমকাল ও ঢাকাপোস্ট তাদের রিপোর্টে হিসেবনিকেশ দেখিয়ে বলেছে আসলে তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১২ টাকা।

তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আসলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিভাবে লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়ল?

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, পাম সুপার তেল ১১২ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৭২৮ টাকায় বিক্রি হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, গত ১৯ মে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই তখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে পাঁচ টাকা করে বাড়িয়ে দেন। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে লিটারে পাঁচ টাকার পরিবর্তে দুই টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৪১ টাকা।

এ হিসেবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়ানো হলে দাম হবে ১৫০ টাকা। কিভাবে প্রতি লিটার সয়াবিনের খুচরা মূল্য ১৫৩ টাকা হয়? এ প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা আরো বলেছেন, কয়েকদিন আগে সংগঠনটি প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আজকের বৈঠকে কার্যত ব্যবসায়ীদের দেয়া প্রস্তাবটিই মানতে বাধ্য হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, এখন থেকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হবে ৭২৮ টাকায়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১২৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। তবে পাম অয়েলের দাম লিটারে ১ টাকা কমানো হয়েছে।

এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে দুইবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হলো।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বৈঠকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আগামী কোরবানির ঈদের আগে তারা আর ভোজ্যতেলের দাম বাড়াবে না। এই শর্তে এবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ কমিটি এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৬৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১৭ টাকা ও পামতেল ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ভোজ্য তেলের দর নির্ধারণ করা হয়। সে সময় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৩৫ টাকা ও পামঅয়েল ১০৪ টাকা বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *