সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মরদেহ মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল দশটায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাখা হবে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এখানেই অনুষ্ঠিত হবে তাঁর প্রথম জানাজা। পরে আজিমপুর কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কবি। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান।

সোমবার (২৪ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২০১৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

কবি ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘সিংহদরজা’, ‘বেদনার চল্লিশ আঙুল’, ‘ম্লান, ম্রিয়মাণ নয়’, ‘বিপ্লব বসত করে ঘরে’, ‘ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘সুগন্ধ ময়ূর লো’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘মুখোমুখি: তুচ্ছ’, ‘স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা’, ‘হ্রী’, ‘কতো আছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’, ‘কাদামাখা পা’, ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’, ‘একা ও করুণা’, ‘যমজ প্রণালী’, ‘আমার জ্যামিতি’, ‘পশ্চিমের গুপ্তচর’ ও ‘কবিতাসমগ্র’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *