ইসরায়েলি বাহিনীর টানা ১১ দিনের নারকীয় তাণ্ডবের পর এখন কিছুটা শান্ত গাজা উপত্যকা। তবে ইসরায়েলের পৈশাচিকতার স্পষ্ট ক্ষত পুরো ভুখণ্ডজুড়ে।

নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নারী এবং নিষ্পাপ শিশুসহ ২৪৩ জন। আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন বহু মানুষ। তবে যারা প্রাণ নিয়ে নিজ ভিটায় ফিরেছেন, তাদের সঙ্গী হয়েছে স্বজন হারানোর আহাজারি কিংবা মাথা গোজার ঠাঁই হারানোর বেদনা।

সেখানকার শিশুদের আর্তনাদই বলে দেয়, ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার মাত্রা। সন্তান হারানো মায়ের আহাজারি জানান দেয়, গত কয়েক দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর পৈশাচিকতা।
টানা ১১ দিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালানোর পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও এ কয়দিনে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। নারী ও শিশুসহ ২৪৩ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেকে আবার পঙ্গু হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন।

ইসরায়েলি বর্বর হামলা থেকে বাঁচতে যারা নিজ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির পর তাদের অনেকেই পেয়েছেন শুধু কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ। কেউ আবার হারিয়েছেন আপনজন। তবুও এসব নিপীড়িত মানুষের একটিই চাওয়া, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।

সেখানকার নাগরিকরা বলছেন, আমাদের রক্ত জেরুজালেমের জন্য। আমাদের রক্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড রক্ষা করার জন্য।

তাদের একজন বলেন, আমার ১১ বছর বয়সী ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। কেন তাকে মরতে হলো? বিশ্ব কি কিছুই দেখছে না?

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে প্রবেশের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের জেরে, গেল ১০ মে গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর জবাবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও রেকর্ড সংখ্যক রকেট নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।সময়নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *