ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের গাজা উপত্যকার পশ্চিমে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন এক পরিবারের ১০ সদস্য। বেঁচে গেছে শুধু ওই পরিবারের পাঁচ মাস বয়সের এক শিশু। গুরুতর আহত শিশুটি এখন বাঁচার লড়াই করছে।

শিশুটির নাম ওমর আল হাদিদি। হামলায় শিশুটির মা, চার ভাইবোন ও স্বজন নিহত হন। শনিবার সেখানে হামলা চালানো হয়। খবর বিবিসি ও এএফপির।

হামলার সময় শিশুটির বাবা মোহাম্মদ আল হাদিদি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘ওই শরণার্থী শিবির থেকে কোনো রকেট হামলা চালানো হয়নি। সেখানে শুধু শিশু ও নারী ছিল। কোন অপরাধে তাদের এভাবে মেরে ফেলা হলো?’ তিনি আরও বলেন, শরণার্থী শিবিরে গাজা থেকে কোনো রকেট হামলা চালানো হয়নি। ইসরায়েলি হামলায় তাদের এভাবে মেরে ফেলা হলো।

শিশু ওমরের চিকিৎসক বলেন, ‘পাঁচ মাস বয়সী শিশুটির অবস্থা ভালো নয়। তার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন।’

ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুদের নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফিলিস্তিনিরা তেল আবিবকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে। তেল আবিব থেকে অনেকে নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *