ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের দফায় দফায় বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে। ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়ে মারলে পাল্টা জবাবে বিমান হামলা চালায় দেশটি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গাজায় উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের একাধিক বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনের দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথন কনরিকাস বলেন, তাঁদের হামলায় অন্তত তিন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলায় তাদের সশস্ত্র শাখা দ্য ইজজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডের একজন কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ফায়াদ প্রাণ হারিয়েছেন।

আহত এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজন

আহত এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজন
ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, হামাসের উচিত দ্রুত রকেট হামলা বন্ধ করা। তিনি উভয় পক্ষকে সংঘাত থেকে সড়ে আসা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন।

মূলত পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ঘিরে এ ঘটনা ঘটল। গত শুক্রবার থেকে আল আকসা প্রাঙ্গণে দফায় দফায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ চলছে। বিবিসি জানায়, আল আকসা প্রাঙ্গণে গত কয়েক দিনে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০০ বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গাজা থেকে জেরুজালেমের দিকে রকেট ছুড়ে মারে। ইসরায়েল, ১০ মে

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গাজা থেকে জেরুজালেমের দিকে রকেট ছুড়ে মারে। ইসরায়েল, ১০ মে
ছবি: রয়টার্স

পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ জেলা থেকে ৭০টির বেশি ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তা নিয়েই সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা শুরু হয়। সোমবার ভোরে আবারও ইসরায়েলি বাহিনী আল আকসায় ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছুড়েছে। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানায়, গত কয়েক দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গাজায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিন, ১০ মে

গাজায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিন, ১০ মে
ছবি: এএফপি

ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের একটি সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন ইসরায়েলি আদালত। এর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে আপিল শুনানিকে সামনে রেখে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে রোববার ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন তারিখ দেওয়া হবে।

আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। তবে এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান, যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসেবে জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *