ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক যুগশঙ্খের এক কলামে এ কথা বলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশে মোদি বিদ্বেষ ধর্মন্ধতা না রাজনীতি’ শিরোনামে গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই কলামে আরও বলা হয়ছে, বাংলাদেশের রাজনীতি কয়েক দশক ধরেই প্রো এবং অ্যান্টি ইন্ডিয়া দৃষ্টিকোণ থেকে চলছে।
সুব্রত দাসের ওই কলামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষরা ইদানিং স্যোশাল মিডিয়ায় ভালতের অভ্যন্তরীণ তিন তালাক আইন, রাম মন্দির, ্অনুচ্ছেদ বিলোপ, এনআরসি, কা, গুজরাট দাঙ্গা ইত্যাদি নিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত সব মিথ্যে এবং অর্ধসত্যিতে ভরা অসংখ্য পোস্ট এবং কমেন্ট করেন। কিন্তু এইসব পোষ্টে অনুচ্চাতি থাকে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে, রমজানের রোজা বন্ধ করে চীনে ইসলামের ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং অন্যায় নিষেধাজ্ঞার কথা। বংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তথাকতিত ইসলামের রক্ষাকর্তারা, যারা আসলে ইসলামিক থেকে অনেক বেশি ইসলামিষ্ট তাদের কর্মকাণ্ডে জিনপিং বা চীনের ইসলামের ওপর অমানবিক নির্যাতন নিয়ে সোচ্চার বা প্রতিবাদ প্রতিফলিত হয় না।
কলামে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে পণ্ডিত নিধন কিংবা বাংলাদেশের হিন্দু হত্যাকাণ্ডের সামনে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে হাঙ্গামা শিশুসুলভ চপলতা ছাড়া কিছুই নয়। আরও পরিস্কার করে বললে বলতে হয়, হাঙ্গরের বাইটের সামনে পিঁপড়ের কামড়!
এক সময় পাকিস্তানের ‘অপারেশন সার্চলাইট’ যেমন ছিল হিন্দু এথনিক ক্লিনজিংয়ের একটা অজুহাত তেমনই ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ থেকে সমূলে হিন্দু নির্বংশ করার ইসলামিস্টদের একটি অজুহাত মাত্র।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা মানে তার নিজের ক্ষতিসাধন করা। বাংলাদেশ বা ইসলামের বিপদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বা ভারত নয় বরং তাদের শত্রু-বিদেশি অর্থ এবং উস্কানিতে পরিচালিত তাদের দেশের ইসলামিস্ট!