ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হাকিম মোল্লার স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা বেগম (৫৮) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

করোনার উপসর্গ তাই তাকে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয় দরকার। কিন্তু লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ। আবার জরুরিভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই একটা উপায় বের করলেন তাঁর ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়উল হাসান টিটু। মোটরসাইকেলে নিজের পিঠের সঙ্গে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। এরপর পেছনে বসালেন মাকে। সিলিন্ডার থেকে মায়ের মুখে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। এরপর মোটরসাইকেল চালিয়ে শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। রেহেনা বেগমকে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

মোটরসাইকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসার একটি ছবি কেউ ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়। এমন ছবিটিকে অনেকে হৃদয়বিদারক বলে অভিহিত করেছেন।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার এসএম মনিরুজ্জামান জানান, রেহেনা বেগমকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য য়োজনে হাইফ্লোর মেশিনের সাহায্য নেওয়া হবে।

মনির খান লিখেন,  ছবিটার একটা গল্প আছে, গল্পটা এমন;
করোনা আক্রান্ত গর্ভধারিনী মা, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে যেকোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। কোন হাসপাতালে ভর্তি নিবে জানেনা,
এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে হবে, হয়তো পাড়ি দিতে হতে পারে মাইলের পর মাইল। কতটি হাসপাতালের দরজায় গেলে মিলবে সোনার হরিণ নামক একটা কাঙ্খিত সিট তাও জানেনা। তাই মোটরসাইকেলে চড়ে নিজের পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মায়ের মুখে লাগিয়ে মাকে নিয়ে ছুটছে সন্তান.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *