রাজধানীর মাংসের দোকানগুলোতে শুরু হয়েছে নতুন প্রতারণা। চোখের পলকেই গরুর মাংসের সাথে মিশানো হচ্ছে লেয়ার মুরগীর মাংস। শুধু তাই নয় নামিদামি এসব দোকানগুলোতে ঝুলিয়ে রাখা প্রতিটি মাংস পিচের সাথে মাংস কাটার সময় কৌশলে কয়েক পিচ মাংস লুকিয়ে রেখে এর পরিবর্তে গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে বাড়তি হাড় ও অবাঞ্চিত গরুর তেলের পিচ। অতি মুনাফার লোভে এমন প্রতারণা করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

এই অভিনব কৌশল কোন ভাবেই বোঝার উপায় নেই একজন সাধারন ক্রেতার । এভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে হাজারও ক্রেতা।

দোকানগুলোতে দেখা যায়, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি উঁচু করে বানানো হয়েছে ক্যাশ বাক্স। আর এতেই লুকিয়ে রাখা হয় লেয়ার মুরগীর মাংস, হাড় ও অবাঞ্চিত গরুর তেলের পিছ।

এদিকে, রাজধানীর রামপুরা, জিগাতলা, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি দোকানেই মাংসের ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। বেশির ভাগ ক্রেতাই কিনছেন দুই কেজির ওপরে। কেউ কেউ ১০ কেজিও কিনছেন। রামপুরার খলিল গোস্তবিতানে গিয়ে দেখা যায়, ৮-১০ জনের ভিড় লেগেছে। মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজিতে। এই দোকানে আগে ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকায় মাংস পাওয়া যেত। জানতে চাইলে আহাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকার মাংসের দাম বেঁধে দেয়নি। সামনে রোজা। সব মিলিয়ে মাংসের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকে বলা মুশকিল। তাই একটু বেশি করে কিনে রাখছি।

অন্য বাজারগুলোতেও একই অবস্থা। জিগাতলায় গিয়ে দেখা যায়, মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। জানতে চাইলে আনোয়ার গোস্ত বিতানের মালিক কাজী আনোয়ার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগের দামেই বিক্রি করছি। তবে কত দিন পারব বুঝতে পারছি না। প্রতিবছরই রোজার আগে মাংস বিক্রি বাড়ে। পাড়া-মহল্লায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গরু জবাই করে নিজেদের মতো মাংস বিক্রি করে। আগে যাঁরা পাঁচ কেজি কিনতেন, এখন তাঁরা ১০ কেজি কিনছেন। ফলে হাটে গরুপ্রতি দুই-তিন হাজার টাকা দামও বেড়েছে।’ সূত্র: ফেসবুক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *