একবছরের বেশি হলো করোনার সঙ্গে লড়ছে বিশ্ব। চলছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল। সংক্রমণ এই কমে তো এই বাড়ে। হিমশিম খাচ্ছে সারা দুনিয়ার সরকারগুলো। পাল্টে গেছে মানুষের জীবন ধারণের বহুকিছু। দেশে দেশে যোগাযোগ এখনো আগের মতো হয়নি। বিমানে ওঠতে লাগছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট। কোনো দেশে গেলে ১৪ দিন থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে।
এই অবস্থায় দেশে দেশে জোরদার করা হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের কার্যক্রম। বাংলাদেশেও চলছে টিকাদান। আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান।
এই পরিস্থিতিতে করোনা টিকার সনদের বিষয়টি সামনে এসেছে। আলোচনা হচ্ছে, একসময় হয়তো বিমানে উঠতে করোনা টিকা নিয়েছেন এমন সনদ লাগবে। এ ছাড়া, অনেক দেশই করোনার টিকার সনদ থাকলে কোয়ারেন্টিন লাগবে না- এমন বিধানের বিষয়ে বিবেচনা করছে। থাইল্যান্ড এরইমধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে টিকার সনদ দেয়া প্রসঙ্গে টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, সনদ অবশ্যই দেয়া হবে। সহজে মানুষ যেন সনদ পায় এ নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমরা জানি বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে টিকার সনদ প্রয়োজন হতে পারে। দ্রুতই এটি দেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সনদটি বাংলা এবং ইংরেজিতে দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন নেয়া পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সহজ করেছে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেয়া থাকলে আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না পর্যটকদের। অনেকেই বলছেন, পর্যটক ছাড়াও যারা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বিদেশ গিয়ে থাকেন তাদের জন্য টিকার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *