যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সোমবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।

করোনা মহামারির কারণে গেলো বছর মসজিদে না গিয়ে মুসল্লিদের ঘরে বসে ইবাদত করার আহ্বান জানিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে এবার এমন কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। পবিত্র শবে বরাত উদযাপন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াজ মাহফিল শেষে বাদ এশা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৫ মার্চ পবিত্র রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয়। সেই হিসাবে ১৬ মার্চ মঙ্গলবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়। আর ১৪ শাবান হবে ২৯ মার্চ। শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতটি পবিত্র শবে বরাত। শবে বরাত মুসলামানদের কাছে লাইলাতুল বারাআত নামেও পরিচিত। আরবি শব্দ লাইলা অর্থ রাত। অপরদিকে ফার্সি শব্দ শব অর্থও রাত। আর বরাত অর্থ মুক্তি বা নিষ্কৃতি। শাবান মাসের ১৪ তারিখের এ রাতকে মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত হিসেবে অবহিত করা হয়। এ রাতে সৃষ্টিকর্তার আছে পাপ থেকে মুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। এ রাতে অনেকেই নফল নামাজ, কোরআন তেলওয়াত ও দোয়া করে থাকেন। এছাড়া অনেকেই এ রাতে বাবা-মাসহ আত্মীয়দের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।

এদিকে পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি, পটকাবাজি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সোমবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *