দাগনভূঞা প্রতিনিধি :
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু কিশোর আসরের উদ্যোগে ২৬ মার্চ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় শিশু কিশোর আসরের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিশু কিশোর আসরের সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরওয়ারের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন শিশু কিশোর আসরের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী জজ কোর্টের শিক্ষানবিস আইনজীবী এ বি এম রিয়াজুল ইসলাম। তিনি আলোচনা শুরুতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণ করেন। মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ৫০ বছরে পা দিলো স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন,আজ থেকে ৫০ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি এই কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম লাভ করে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র।
স্বাধীনতা দিবস, এই দিনটি বাঙালি জাতির সংগ্রামমুখর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।
এবারের স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ তাৎপর্য হচ্ছে, এ বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর, রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হওয়ার সাথে সাথে শিশু কিশোর আসর ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতেছে।
১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও পূর্ব বাংলার বাঙালির ওপর জেঁকে বসে নতুন জান্তা। ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি জিন্নাহর ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান নামের একটি অসম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু থেকে বাঙালির জীবনে আবারও নেমে আসে শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতনের স্টিম রোলার। ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীন হলেও এই ভূখণ্ডের বাঙালি আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্তিকামী ও গণতন্ত্রকামী মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী ও বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় লাভ করে।