সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক, আমাকে ক্রিকেটে রাখেন। নইলে আপনাদের (সাংবাদিক) লাইফ বোরিং হয়ে যাবে। মিডিয়ার সাকিবকে দরকার।’- মজা করে সাকিবের করা মন্তব্যটি একেবারে ফেলনাও নয়। তিনি শুধু ক্রিকেট মাঠেই নন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ডেও।
আলোচনা-সমালোচনাকে নিত্য সঙ্গী বানিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আঙুল তোলেন বোর্ডের একাধিক পরিচালকের দিকে। তার বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে উত্তাল গোটা ক্রিকেটাঙ্গন। বিতর্কের বারুদ জ্বেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন সাকিব।
সোমবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন সাকিব। তার ফেরা নিয়েও আছে কৌতূহল। বিতর্কের আগুন শান্ত করতেই দ্রুত দেশে ফিরলেন সাকিব, নাকি পূর্বনির্ধারিত ছিল তার ফেরা? অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, বোর্ড থেকে হয়তো দ্রুত ডেকে পাঠানো হয়েছে তাকে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব। বিসিবি সেই ছুটি মঞ্জুরও করেছে। তবে বিপত্তি তৈরি হয়েছে, সেই সময়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্টের থেকে আইপিএলের মঞ্চ বড় হয়ে গেল সাকিবের কাছে? এরপর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি তোপ দাগা। বোর্ডের কয়েকজন কর্তার বিপক্ষে অভিযোগ আনেন টাইগার অলরাউন্ডার।
সেই লাইভের পর খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠক ডাকা হয়। তবে সেই বৈঠক শেষে আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয় সাকিবের কথায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। মা শিরিন রেজাকে নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন সাকিব। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের পাশে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গত ১৫ মার্চ পুত্র সন্তান জন্ম নেয় তার। – ঢাকা পোস্ট