নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে আবারও আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের এ সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে একজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১০ জন এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এর আগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও তিন পুলিশ সদস্য’সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এসময় সংঘর্ষকারীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিষ্ফোরণ, গাড়ী ও দোকানে ভাঙচুর চালায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দফায় দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাশে, রূপালী চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ খবর লেখা পর্যন্ত নিহত ১ জন ও গুলিবিদ্ধ ১০ জন। এ ঘটনায় বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আ.লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ ৪পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২১জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা ।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।