সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে সংবর্ধনা ও জনসভা অনুষ্ঠানে প্র:ধান অতিথির বক্তব্যে এমপি তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মামুনুল হক ফরিদপুর এসে বলেন, আমি নিক্সন চৌধুরীর বাড়িতে দাওয়াত খাব, আমার সঙ্গে তার (নিক্সন চৌধুরী) কোনো বিরোধ নাই।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, সারা বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন হবে ভাঙ্গায় এবং যুবলীগের ঘাঁটি হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। তিনি আরও বলেন, আমি গত এক মাসে ৫৪ কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ শুধু ঘারুয়া ইউনিয়নে করেছি। সারা দেশের কোনো ইউনিয়নে এত বড় উন্নয়ন হয় নাই।

হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একটা ভুল বুঝাবুঝি আছে আপনি হেফাজতের একজন জাতীয় নেতা ও একজন মওলানা। আপনি আমার নেতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন আমি আপনাকে নিয়ে কথা বলেছি। রাজনীতিতে চিরশত্রু বলতে কিছু নাই। আপনি ফরিদপুরে একটি ওয়াজে এসে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিয়ে কথা বলেছেন, আমি আপনাকে তিন থানার জনগণ নিয়ে সম্মান দিব, আপনি ধর্মের শিক্ষা দেন, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। মানুষ চলার পথে ভুল হতে পারে, যখন বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করেছেন আমি সব ভুলে গিয়েছি। আপনি আমার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসতে চেয়েছেন। আপনি একজন মাওলানা আপনি ধর্ম শিক্ষা দেন। আপনিসহ যত মাওলানা আছে আসেন আমি দাওয়াত গ্রহণ কবুল করলাম। আমি আপনার মতো একজন ধর্মগুরুকে দাওয়াত করে আনতে পারলে আমার তিন থানার জনগণ ও আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো। আপনি কবে আসবেন আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হাসান মিঠু। আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি কাজি হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন,সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান মুন্সি,জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শাহিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *