রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষ থেকে সারা দেশে টিকাদান কমসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর পরপরই বিভিন্ন জেলায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরপরই সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যায়।
রাজধানীর হাসপাতাল গুলো ঘুরে দেখা যায়, নিবন্ধনের জন্য ট্যাব, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য আলাদা বুথ, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর পোস্ট ওয়েটিং রুমে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, ছিলো মেডিক্যাল টিমসহ ছিলো আইসিইউ স্পেশালিস্ট।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনিসহ টিকা নেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ আরো অনেকে।
নিজে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সমালোচনার ঊর্ধে উঠে কাজ করে গেছি। আজ বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো আছে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, দেশবাসীর জীবন রক্ষার্থে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেরা নিচ্ছি, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন, তাদের দেখে সাধারণ মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, টিকা নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা করছে। পুরো বিশ্ব টিকা নিচ্ছে, কিছু না কিছু উপকারিতা তো আছেই।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাকে মন্ত্রিসভায়ও কবিতা পড়তে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জিজ্ঞেস করেন কবিতা আছে কিনা। আপনাদের দুই লাইন কবিতা শোনাই। ‘যদি বেঁচে যাও করোনার কালে, যদি কেটে যায় মৃত্যুর ভয়। জেনো বিজ্ঞান লড়ে গেছে সদা, নেই ভয়, হবে মানুষের জয়।’