একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং নিয়ন্ত্রিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে নোঙর ফেলেছে। ওই অঞ্চলে নৌ-পরিচালনার স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে ওই জাহাজটিকে পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে এটি এ ধরনের প্রথম মিশন। এরই মধ্যে চীনা সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে নৌ ও বিমান ইউনিটগুলোকে সতর্ক অবস্থানে রেখেছে চীন। মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে।
দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন প্রসঙ্গে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সেভেনথ ফ্লিট।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে নৌ-পরিচালনার স্বাধীনতা ও অধিকারেরই দাবি জানাচ্ছে ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন জাহাজটি।’

এদিকে চীনা সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড প্যারাসেল অঞ্চলের পানিসীমাকে নিজেদের দাবি করে বলেছে, অনুমতি না নিয়েই সেখানে প্রবেশ করেছে মার্কিন জাহাজটি। এর মধ্য দিয়ে চীনের ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা গুরুতরভাবে ক্ষুণ হয়েছে।’

চীনের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *