থাইল্যান্ডের রেস্তোরাঁগুলোতে ‘গিগলিং ব্রেড’ বা ‘জয়ফুলি ডান্সিং সালাদ’ নামে অদ্ভুত খাবারগুলো আগে দেখা যেতো না। তবে শহরের একদল ভোজনরসিক মনে করেন, গাঁজা পাতা দিয়ে তৈরি এসব খাবার বিদেশী পর্যটকদের মন কাড়তে পারবে। গাঁজা সম্পর্কে সমাজের বদ্ধমূল নেতিবাচক ধারণা দূর করতে সহায়ক হবে। রয়টার্স
২০১৭ সালে প্রথম দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। সম্প্রতি সরকার মাদকের তালিকা থেকেই গাঁজাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। শর্তসাপেক্ষে চাষেরও অনুমতি দিয়েছে। এর পর পরই ‘চাও ফায়া অভয়ভূবেজর’ হাসপাতালের রেস্তোরাঁর খাবার-তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে গাঁজাপাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আইটেম। ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করতে মারিজুয়ানার কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণার জন্য হাসপাতালটি বিখ্যাত। ইয়ন
হাসপাতালটির কর্মকতা পাকক্রং কাওয়ানকাও বলেন, ‘খাবারে নির্দিষ্ট পরিমাণে গাঁজা পাতা দিলে রোগীর দ্রুত রোগমুক্তি ঘটবে। এই পাতা ক্ষুধামন্দা দূর, ভালো ঘুম এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি শারীরিক ব্যথা ও অবসাদ দূর করতেও গাঁজার রয়েছে অনন্য গুণ’। জাকার্তা পোস্ট
ভোজনরসিক হিসেবে পরিচিত কেটসিরিন বোনসিরি বলেন, ‘আমি এর আগে কখনও গাঁজা গ্রহণ করিনি, তবে গাঁজা পাতা দিয়ে তৈরি খাবারগুলো অদ্ভুত মনে হলেও সুস্বাদু। এই পাতার স্বাদ সাধারণ শাকসবজির মতো হলেও ফ্লেভার সম্পূর্ণ আলাদা।’ ইন্ডিয়া টুডে
থাই সরকারের উপ-শিক্ষামন্ত্রী কনোকোয়ান বিলাওয়ান বলেছেন, ‘বিদেশী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যে পরিচিত থাই খাবারগুলিতে আরও বেশি গাঁজাপাতা যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছি।’