দাগনভূঞা প্রতিনিধি, আজকের সময় :
সৌদি প্রবাসী স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ীর নির্যাতনের শিকার হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে দাগনভূঞা উপজেলা মোমারিজপুর গ্রামের হাজী আব্দুল লতিফ মিয়া বাড়ির আব্দুল কাদের মিয়ার ছোট মেয়ে তাহমিনা আক্তার নিপু।
এ ঘটনায় স্বামী শাহাদাত হোসেন বিপ্লব সহ শশুর শাশুড়ি ননদ সহ ৬ জনের নামে ঢাকা শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেছে গৃহবধূর ভাই মোহাম্মদ আশিক মিয়া।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ গ্রামের বসুমিয়া পাটোয়ারি বাড়ি গোলাপ মিয়ার ছোট ছেলে শাহাদাত হোসেন বিপ্লবেব সাথে বিয়ে হয় নিপুর। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
দারিদ্র পরিবার বলে কটাক্ষ করে যৌতুক দেয়ার জন্য চাপ দিতো স্বামীর পরিবার। বিভিন্ন সময় শশুর-শাশুড়ি ও ননদ নানান অজুহাতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এভাবে কয়েক দফা নির্যাতন করার পর গৃহবধূ নিপু বাবার বাড়ি চলে যায়।
পরবর্তীতে পারিবারিক বৈঠকে স্বামী ও তার পরিবার ক্ষমা চেয়ে স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেয় তার স্বামী। কিছুদিন চুপ থাকার পর পর আবার চলে অমানুষিক নির্যাতন। তার ধারাবাহিকতায় গত ৬ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে নিপুকে স্বামী বিপ্লব, শ্বশুর গোলাপ রহমান, শাশুড়ি সেতারা বেগম, ননদ পারভিন আক্তার, লিপি বেগম ও সাবানা আক্তার মিলে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে। এক পর্যায় শ্বাসরোধ করে মাথায় কুপিয়ে হত্যার করার চেষ্টা চালায়। নির্যাতনে অজ্ঞান হয়ে গেলে তার বাবার বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় সে অসুস্থ। পরবর্তীতে পুলিশ সহ তার বাবার পরিবারের লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। তার মাথা, হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক।
এ ব্যাপারে শেরে বাংলা থানার ওসি জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যঅহত রেখেছে।