নিউজ ডেস্ক : সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘শিওরক্যাশে’ বিগত ৪ বছর ধরে আটকে থাকা ১৯ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পৌঁছে দেবে ‘নগদ’।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা শিওরক্যাশে একাউন্ট খুললেও তাদের একাউন্ট অনিষ্পন্ন থাকার কারণে তারা চাইলেও টাকা তুলতে পারছে না। এ বিষয়ে ‘শিওরক্যাশ’ কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সঠিকভাবে অবহিত না করায় চার বছর ধরে উপবৃত্তির টাকা তুলতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। তাই এবার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেনের প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিবে সরকার।

সূত্র বলছে, মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিধিবিধান গুরুতর লঙ্ঘন করে ব্যবসা পরিচালনা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান শিউরক্যাশ। এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির এক-চতুর্থাংশেরও বেশি সচল গ্রাহকের এনআইডির তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি অনেক সচল এজেন্টের হিসাবেও এনআইডি ব্যবহার হয়নি। এ তথ্য জানিয়ে স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরিদর্শন রিপোর্টে দেখা গেছে, একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একটি এক্যাউন্ট খোলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও মাত্র তিন লাখ সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করে ‘শিওরক্যাশে’র ১৯ লাখ শিক্ষার্থীর নিবন্ধন করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে একটি এনআইডির বিপরীতে একাধিক এক্যাউন্ট খোলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ‘শিওরক্যাশ’ কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে রুপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘শিওরক্যাশ’র বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা হচ্ছে প্রায় দুই কোটি এবং সারাদেশে তাদের নিবন্ধিত এজেন্ট আছে ১ লাখ ৮০ হাজার।

আরও ভয়ংকর তথ্য হলো, শিউরক্যাশের প্রায় ১৯ লাখ হিসাব পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে, যাতে স্থিতির পরিমাণ ১২০ কোটি টাকা। এই টাকার বড় অংশই প্রাইমারি শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া সরকারি বৃত্তির টাকা। চার বছর ধরে এসব অ্যাকাউন্ট পেন্ডিং থাকায় শিক্ষার্থীরা টাকা তুলতে পারছে না।

উপবৃত্তির টাকা যে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না, তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে যথাযথভাবে অবহিতও করেনি শিউরক্যাশ।

পরিদর্শন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে শিউরক্যাশের আইন ভঙ্গের বিষয়গুলো নিয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা থাকলেও শিউরক্যাশ থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে এখনো জবাব দিতে পারেনি রূপালী ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনটি গত ৪ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের কাছেও পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ অনিয়মের বিষয়ে ‘শিওরক্যাশ’র প্রধান নির্বাহী (সিইও) শাহাদাত খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অনিয়মের দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এমএফএসের নির্দেশিকা জারি করার আগে এই সব অনিয়ম হয়েছিল।

বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আটকে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাদাত খান জানান, আমরা প্রতিবছর ১ কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি পাঠাই। এক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য ৯৮% এরও বেশি।

‘এত শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ লাখ অ্যাকাউন্ট খুব বড় ব্যাপার নয়। আমরা বার্ষিক ১২’শ কোটি টাকা উপবৃত্তি বিতরণ করি। সুতরাং, চার বছরের জন্য বিচারাধীন অবস্থায় এক হাজার কোটি টাকা রাখা তেমন বড় ঘটনা না।’

তিনি আরও জানান, গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষ ফিচার ফোন ব্যবহার করে না। এক্ষেত্রে উপবৃত্তি সংক্রান্ত পাঠ্য বার্তা যদি কোনও কারণে মুছে ফেলা হয়, তবে তারা মনে করে যে এই অর্থ আর পাওয়া যাবে না! একারণে শিক্ষার্থীরা তাদের উপবৃত্তির অর্থ উত্তোলনে এগিয়ে আসছে না।

এছাড়া অনেক পরিবার উপবৃত্তির টাকা খরচ না করে এক্যাউন্টে জমা রাখতে পছন্দ করার কারণেও অর্থ আটকে থাকে বলে জানান শাহাদাত খান।

বিচারাধীন পরিস্থিতিতে অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অনুরোধে ওই অ্যাকাউন্টগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ কারও সিম হারিয়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক অ্যাকাউন্টটি সাময়িক মুলতুবি অবস্থায় রাখতে অনুরোধ করেন।

নিয়ম অনুসারে নগদ ইন এবং মোবাইল রিচার্জ ব্যতীত মুলতুবি থাকা অ্যাকাউন্টগুলি থেকে লেনদেনের কোনও সুযোগ নেই। তবে এর মধ্যে প্রাইভেট টু বিজনেস এবং নগদ আউট শিওরক্যাশ অ্যাকাউন্ট থেকে স্থগিত এক্যাউন্ট থেকে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে শাহাদাত খান বলেন, অ্যাকাউন্টগুলি স্থগিত হওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা অর্থ উত্তোলন করে নেয়। এখানেও কোনও অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপবৃত্তির এক-চতুর্থাংশ অ্যাকাউন্টগুলো এনআইডি ছাড়াই তৈরি হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে মোট দুই কোটি উপবৃত্তি অ্যাক্যাউন্টের মধ্যে প্রায় ৫৯ লাখ সক্রিয় অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এনআইডি নেই।

এ ছাড়াও প্রায় ১০ লক্ষ এজেন্ট অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এনআইডি নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সংস্থাটির দুই কোটি গ্রাহক অ্যাকাউন্টের মধ্যে প্রায় ৫৯ লক্ষ সক্রিয় অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এনআইডি নেই।

এ ছাড়াও প্রায় ১০ লক্ষ এজেন্ট অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এনআইডি নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিউরক্যাশের সিইও ড. শাহাদাত খান বলেন, ‘অ্যাকাউন্টের বিপরীতে এনআইডি না থাকার দায় রূপালী ব্যাংকের। কাস্টমারের কেওয়াইসি (আপনার ক্রেতাকে জানুন) করার দায়িত্ব রূপালী ব্যাংকের। কেওয়াইসি করতে শিউরক্যাশ কোনো অর্থ খরচ করতে রাজি নয়। আমরা শুধু সফটওয়্যার সাপোর্ট দিচ্ছি।’

তিনি আরও জানান, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আমাদেরকে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর, নাম এবং ঠিকানা সরবরাহ করেছে এবং সেই এমএসএফ নম্বরগুলিতে উপবৃত্তির টাকা পাঠাতে বলেছে।

‘রূপালী ব্যাংক জানিয়েছে, সরকারের এই তালিকাটি এক প্রকার কেওয়াইসি। আমরা সেই তালিকা অনুযায়ী অর্থ প্রেরণ করেছি। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য এনআইডির অস্তিত্ব যাচাই করা হয়নি।’

একটি এনআইডি ব্যবহার করে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে-

একটি এনআইডির বিপরীতে কেবল একটি অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যেতে পারে এমন নিয়ম থাকলেও ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩টি এনআইডির প্রতিটির বিপরীতে একাধিক হিসাব খোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে বলা হয়েছে, একই এনআইডির বিপরীতে একাধিক হিসাব খোলা প্রতিরোধের সিস্টেমই নেই শিউরক্যাশের।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে শিউরক্যাশের সিইও বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমে কোনো ত্রুটি নেই। একজন গ্রাহক শুরুতে একটি এনআইডি ব্যবহার করে একটি হিসাব খুলেছে। সে সময় হয়তো সে এনআইডি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল করেছে। দ্বিতীয়বার সে সঠিক এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে আরেকটি হিসাব খুলেছে। তাই আমাদের সিস্টেম ধরতে পারেনি।’

জাতীয় তথ্যভাণ্ডার থেকে গ্রাহকের তথ্য যাচাই করা হলে কীভাবে এমন ভুল হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

বাংলাদেশ ব্যাংক শিউরক্যাশের ৩৭ জন গ্রাহকের হিসাবে নেগেটিভ ব্যালেন্স পেয়েছে। অর্থাৎ হিসাবে যে পরিমাণ স্থিতি ছিল, তার চেয়ে বেশি টাকা ক্যাশ-আউট বা লেনদেন করেছে গ্রাহক। এ ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেন শিউরক্যাশের সিস্টেম ডিজাইনে বড় ধরণের ত্রুটি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিউরক্যাশের সিইও বলেন, ‘অ্যাকাউন্টগুলোতে এক-দেড় টাকার মতো নেগেটিভ ব্যালেন্স ছিল। দুই কোটি গ্রাহকের একটি সিস্টেম পরিচালনাকালে এমন কিছু সমস্যা হতেই পারে। তবে এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।’

‘শিউরক্যাশের ওপর রূপালী ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই’

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিউরক্যাশের সিস্টেম হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ডাটাবেজের ওপর রূপালী ব্যাংকের কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবসার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বাধিক লেনদেনের সীমা এবং মোবাইল ওয়ালেটে সর্বাধিক ব্যালেন্স সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ও নির্দেশিকাও অনেক ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে না।

এমএফএস রেগুলেশন্স অনুযায়ী দিনশেষে ই-মানি, নগদ অর্থের সমান বা কম থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সরেজমিন পরিদর্শনকালে তার ব্যত্যয় দেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে, এজেন্ট ওয়ালেট এবং ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ালেট ইস্যু করা ই-মানির বিপরীতে দিনশেষে জমা হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণে প্রায় ৫ কোটি টাকারও গরমিল পাওয়া গেছে।

পরিদর্শন রিপোর্টে এই ঘটনাটিকে ‘অবৈধ অর্থ পাচার ও গুরুতর অনিয়মের অনুরূপ’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

রূপালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন যে, ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি হওয়া সত্ত্বেও ‘শিওরক্যাশ’র উপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।

তবে অসুস্থ থাকায় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেননি রূপালী ব্যাংকের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম।

ব্যাংকটির উপ-মহাব্যবস্থাপক (মোবাইল ব্যাংকিং) মো. মনিরুল হক বলেন, শিউরক্যাশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক রূপালী ব্যাংককে এনওসি দিয়েছে। তবে কোম্পানিটির ওপর রূপালী ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শিওরক্যাশে অনিয়মের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। তারপর থেকে আমরা শিওরক্যাশের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসে জটিলতাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের সাথে বৈঠকও করেছি এবং তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলও এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু নথি সরবরাহ করবে, তবে তারা এখনও আমাদের কোনও নথি সরবরাহ করেনি।’

মনিরুল হক জানান, ‘বুধবার (৬ জানুয়ারী) শিওরক্যাশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তাদেরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল যে, তাঁর স্ত্রী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে, এ বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র তৈরি করে প্রতিবেদন জমা দিতে আরও এক বা দু’বছর সময় লাগতে পারে।

জানা গেছে, শিওরক্যাশ রূপালী ব্যাংকের সহায়ক সংস্থা হিসাবে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। বর্তমান সংস্থার প্রায় দুই কোটি গ্রাহক এবং প্রায় ২ লাখ এজেন্ট রয়েছে। বেসরকারিখাতের ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে কোম্পানিটি।

গবেষণা সংস্থা বিজনেস হাউন্টের মতে, বিকাশ, রকেট এবং নগদের পরে, শিওরক্যাশ দেশের চতুর্থ বৃহত্তম এমএফএস প্ল্যাটফর্ম।

তথ্য সূত্র – https://tbsnews.net

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *