সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফরম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে চাইলে এখন থেকে ব্যবহারকারীদের তাদের তথ্য ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ারে রাজি হতে হবে। সম্প্রতি পপ-আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য নেয়া ও বিনিময়ের সম্মতি চেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের ভাষ্য হলো, কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাকে এ শর্তে সম্মতি দিয়েই সেবা চলমান রাখতে হবে। না হয় গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট মুছে দেয়া হবে। হঠাৎ করেই প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখের মধ্যে নতুন নীতি গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে হবে।

অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বলছে, ইউরোপ আর যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা এ পরিবর্তন দেখতে পাবে না। তবে, তাদেরও এ নতুন শর্ত মেনে নিতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের এ শর্ত খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করার পদক্ষেপকে ইইউ গোপনতা নীতি-নির্ধারকদের জয় হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। কোনো পরিবর্তন আসার পর প্রথম ৩০ দিন ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার না করার অপশন ছিল আন্তর্জাতিক গোপনতা নীতিমালায়। এ ধারা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের নতুন সতর্কবার্তায় ব্যবহারকারীদের অনলাইন সহায়তা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে ‘আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে চান’ এমন অপশন দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির অধীনস্থ এ চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মের এমন একরোখা সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছেন; প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। টেসলা ও স্পেসএক্স-এর প্রধান ইলন মাস্ক ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষায় হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগনাল কিংবা টেলিগ্রাম ব্যবহারের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপকে ১৯ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ফেসবুক। এর পরপরই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিতে অ্যাপটিতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চালু হয়। কিন্তু নতুন নীতির কারণে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফেসবুক তাদের অধীনে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজেও ব্যবহার করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *