“অ্যাজমা / হাঁপানি ও করোনা”
ডাঃ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন
সিনিয়র কনসালটেন্ট, মেডিসিন
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, নোয়াখালী

আমরা করোনা মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গে আবর্তিত হচ্ছি। দূর্ভাগ্যক্রমে এখন অ্যাজমা/হাঁপানির রোগীদের শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সময়; আরো দূর্ভাগ্য, অ্যাজমা রোগীদের করোনা হওয়ার এবং তীব্রভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। গত কিছু দিন যাবত আমার চেম্বারে যত অ্যাজমা রোগী এসেছে সবাই “সম্ভাব্য করোনা”র রোগী এবং সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি অশনি সংকেত।
## কিভাবে বুঝবেন একজন অ্যাজমা রোগীর করোনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
★ মাত্রাতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট
★ প্রচলিত ওষুধে কাজ না করা, এমনকি ইনজেকশন বা নিবুলাইজারেও না
★ শ্বাসকষ্টের সাথে জ্বর আসা
★ বুকে ব্যথা বা বুকে ভার ভার লাগা
★ অল্প পরিশ্রমে অবসাদ বা দূর্বলতা
★ শরীরের অক্সিজেন কমে যাওয়া
★ শরীরে প্রচন্ড ব্যথা / মাথাব্যথা
★ খাবারে অরুচি, সর্দি, হাঁচি বেড়ে যাওয়া, নাকের ঘ্রান কমে যাওয়া ইত্যাদি।

অ্যাজামা রোগীর এ ধরনের এক বা একাধিক লক্ষ্মণ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে, অথবা নিকটস্থ মেডিসিন / বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। অন্যথায় বড় ধরনের বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।।

আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ যদি অ্যাজমা/ হাঁপানি রোগে ভুগে থাকেন
তাহলে-
– গৃহপালিত জন্তু যেমন,কুকুর,বিড়াল ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
– ভিজা স্যাঁতস্যাতে পরিবেশ পরিহার করুন।
– পোকামাকড় যেমন, তেলাপোকা নিধন করুন।
– ধূমপান এবং ধূমপায়ীর সাহাচার্য্য পরিহার করুন।
– বাসায় কার্পেট ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
– যেসব ওষুধ (যেমন, এসপিরিন, বিটা ব্লকার) শ্বাসকষ্ট বাড়ায় তাদের বিকল্প ওষুধ ব্যবহার করুন, আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
– ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত অ্যাজমার কোন ওষুধ বন্ধ করা যাবেনা।
– করোনার লক্ষ্মণ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হবেন।

পরিবেশ দুষণ মুক্ত রাখুন, সুস্থ থাকুন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *