নিউজ ডেস্ক: তরুণদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটা ডিগ্রি নিয়েই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কীভাবে কিছু একটা করা যায়, আরও দশ জনকে চাকরি দেয়া যায়, উদ্যোক্তা হওয়া যায়, নিজেই বস হওয়া যায় সেটি চিন্তা কর।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে যে ‘আমি আমার বস হব, আমি কাজ দেব। আমার মধ্যে সেই শক্তিটা আছে, সেই শক্তিটা আমি কাজে লাগাব’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি, আমাদের তো সময় শেষ, কিন্তু যুবকরাই তো আসলে দেশের প্রাণ সঞ্চার করবে। কাজেই সেভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যেতে হবে, আমি সেটাই চাই।
যুব সমাজের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, এই বয়সটা হল কাজের বয়স, চিন্তার বয়স, মেধা বিকাশের সময়। আর আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তরুণদের কর্মসংস্থানের দিকে ‘বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়ে’ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আজকে যারা যুবক, আগামী দিনে তারা দেশের কর্ণধার হবে; আজকে যে শিশুটি জন্ম নিল, তার ভবিষ্যত যেন উন্নত হয়, সে কথা চিন্তা করেই সরকার সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আবারও সবাইকে মাস্ক ব্যবহারেরও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, এখন সময় এসে গেছে, এখন থেকে বাইরে থেকে আমাদের দেশে যারা আসবে, তাদের পরীক্ষা করা, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা… এটা আমাদের সেই এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পোর্টে পোর্টে এখন থেকে আবার সেই আগের মত ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ ঢুকতে গেলেই করোনাভাইরাস নিয়ে ঢুকছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ আমার দেশের মানুষের সুরক্ষটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠানস্থলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবিরসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আর ভিডিও কনফারেন্সের গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।