নিউজ ডেস্ক: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অন্য কারও হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাশ ভট্টাচার্য।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) পাটগ্রাম শহীদ আফজাল হোসেন হলরুমে আলেম সমাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
পুলিশের ডিআইজি বলেন, বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তদন্তনাধীন রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছোট একটি ঘটনাকে রং দিয়ে পেছন থেকে কেউ সুযোগ নিতে পারে। তাই পুরো ঘটনাটি একাধিক সংস্থা তদন্ত করছেন। একটু অপেক্ষা করুন প্রকৃত রহস্য বের হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ বাদী হয়ে ২২ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৫ শত জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের ভাই সাইফুল আলম বিপ্লব ও পাটগ্রাম থানার এসআই শাহজাহান বাদী হয়ে একটি করে মামলা করেছেন। তবে সবগুলো মামলাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের শহীদ আফজাল হলরুমে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্ত উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠকে ওই উপজেলার ইমাম মোয়াজ্জেমসহ ৫ শতাধিক আলেম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে তুলে গত বৃহস্পতিবার এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন বিক্ষুপ্ত জনতা। পরে ওই লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে তারা। নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।