নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসন ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আজ ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের অনুমতি নিয়ে গণসংযোগের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। রানাভোলায় আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আমাদের যেসব নেতাকর্মী জমায়েত হয়েছিলেন, তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসন ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এভাবে হলে যদি হয় তাহলে নির্বাচন কী হবে?’

নবম দিনের মতো শনিবার সকাল ১০ টায় তুরাগ থানার রানাভোলা থেকে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শুরু কথা ছিল। পুলিশের অনুমতি নিয়ে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী-দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ বিএনপির ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যুবদলের সাংগঠনিক মামুন হাসানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা রানাভোলায় জামায়েতও হন। ওই এলাকায় বাধা পেয়ে বেলা ১১ টায় বিকল্প হিসেবে ৭ নম্বর সেক্টরের লেখক ড্রাইভ রোড, চৌরাস্তা, রবীন্দ্র সরণি রোড, হাউজ বিল্ডিং এলাকায় গণসংযোগ করে মাসকট প্লাজার সামনে এসে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে গণসংযোগ শেষ করেন।

তিনি বলেন, ‘কর্মসূচি আমাদের থাকলেও ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী রাস্তায় রাস্তায় লাঠিসোঠা হাতে মিছিল করছে কেন? আওয়ামী লীগ চায় একটা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে যাতে আমরা প্রচার করতে না পারি। আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী চাচ্ছে না জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাক। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস করছে, বিভিন্নভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের হুঁমকি-ধমকি দিচ্ছে।’

বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘আমরা যেখানে কর্মসূচি দিচ্ছি গত ২৪ অক্টোবর থেকে সেখানে পাল্টা কর্র্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী সবধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, পরিকল্পনা করছে। আওয়ামী লীগ তো দিনের ভোট রাতে করতে পছন্দ করেন।’

গণসংযোগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন-হাবিবুর রহমান, আব্দুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর নেওয়াজ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, মামুন হাসান, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, ইয়াছিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেওয়াজনুল হক রিয়াজ, রফিকুল আলম মজনু, আতিকুল ইসলামসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *