নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বনানী থেকে মহাখালী পর্যন্ত রেলপথের দু’পাশ জুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ স্থাপনাও তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে সুরক্ষিত হয়েছে এ এলাকার রেলপথ। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এ দুই-এক কিলোমিটার রেলপথ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের দু’পাশে স্টিলের পিলার ও তার দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। এর পাশেই রেলের জায়গা টিন দিয়ে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। ফলে রেললাইনের পাশে এখন ঝুপড়ি ঘর ও দোকান নেই। এতে ঝুঁকি কমেছে। নিরাপত্তাও বেড়েছে।

জানা গেছে, নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বনানী থেকে মহাখালী পর্যন্ত এ রেললাইনের পাশ দিয়ে রেলের জায়গা দিয়েই যাবে। এজন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রেললাইনের দু’পাশে তার দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত যাবে। প্রথম ধাপে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী পর্যন্ত কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। পরবর্তী ধাপে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে যাতে ট্রেন চলাচল নিরাপদ থাকে, এজন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুকুমার বড়ুয়া বলেন, দুই-আড়াই মাস আগে তার দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। এর পাশ দিয়ে উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে, এজন্য রেলের পাশের সবকিছু উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুনু মিয়া জানান, কোরবানির ঈদের আগে ফ্লাইওভারের লোকজন এ নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মিয়া বলেন, বনানী মহাখালীর মতো পুরো রাজধানীর রেলপথে যদি এ রকম বেষ্টনী দেওয়া হতো, তাহলে রেললাইন সুরক্ষিত থাকতো। রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা না থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে না। তাই রেল কর্তৃপক্ষ রাজধানীর রেলপথ তার দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে সুরক্ষিত করার উদ্যোগে নিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *