আজকের সময় প্রতিবেদক :
দক্ষিণ আফ্রিকার আল আমিনের লাশ মর্গে থেকে বের করে জানাজা ও দাফন কাফন সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ( দক্ষিণ আফ্রিকা)
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেপ টাউন শাখার সমন্বয়ক নুরু আলম, সাইফুল ইসলাম (সদস্য), আদর খান ( সদস্য), মোঃ হাসান(সদস্য) এবং কুমালাঙ্গা সিটি সমন্বয়ক মোঃ নাজমুল হাসান দীর্ঘ দিন লাশ মর্গে পড়ে থাকা লাশটিকে মর্গে থেকে বের করার জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন, নিহতের পরিবার ও মেডিকেলে যোগাযোগের মাধ্যমে গতকাল (২৬/১০/২০২০) তারিখে লাশটি মর্গে থেকে বের করে নিহতের পরিবারের অনুমতি ক্রমে কেপ টাউন বাংলা মাদ্রাসা সংগল্ন করবস্হানে জানাজা ও দাফন কাফনের ব্যবস্হা কার্য সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ সাউথ আফ্রিকা শাখার সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম এই সকল ব্যপস্হাপনার সার্বিক খোজখবর নেন এবং এই হত্যার সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে ব্যবসায়িক কোন্দলের জের ধরে সুজন নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের হাতে খুন হয়েছেন তার ব্যবসায়িক পার্টনার আল আমিন৷ সুজন এবং আল আমিনের মধ্যে ২০১৮ সালের শেষদিকে বিচারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন শেষ হলেও আল আমিনকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল সুজন।
সেই থেকে সুজন আল আমিনকে খুন করার নানা পরিকল্পনা করে আসছিল। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় আল আমিনকে খুনের পরিকল্পনা করে আসছে সে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ অক্টোবর ভাড়া করা কৃষ্ণাঙ্গ খুনি দিয়ে কেপটাউনের সি-পয়েন্ট থেকে আল আমিনকে তুলে নিয়ে যায় সুজন। এরপর কেপটাউন শহরের অদূরে স্টেইনবার্গ নামক এলাকায় আল আমিনকে খুন করে লাশ সমুদ্রের পাড়ে বালিতে পুঁতে রাখে।
লাশ দুই দিন বালির নিচে থাকার পর ১২ অক্টোবর লাশটিকে কয়েকটি কুকুর বালির নিচ থেকে বের করে আনে। পরে লাশটি লোকজনের চোখে পড়লে তারা পুলিশের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
আল আমিনের লাশটি এতদিন পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গে পড় ছিলো এবং প্রবাসী অধিকার পরিষদের দক্ষিণ আফ্রিকার নেএীবৃন্দ ও সহযোদ্ধারা গতকাল লাশটি মর্গে থেকে উওলন করে পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কেপটাউনে জানাজা ও দাফন কাফন সম্পন্ন করে। নিকটস্থ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে আল আমিনের খুনি সুজন পলাতক রয়েছে। সুজন বাংলাদেশ কমিউনিটি অব কেপটাউনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদের আপন ছোট ভাই। খুনি সুজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
তার বড়ভাই কমিউনিটি নেতা মাসুদ তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডটি ধামাচাপা দিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব কেপটাউনের নেতারা।