নিউজ ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচরে অবৈধভাবে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ৬২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে ৫৯ জনকে একবছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পদ্মায় অভিযান চালিয়ে ৩৯ জনকে আটক করেন। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ৩৯ জনকে কারাদণ্ড দেন। এ সময় তিনি মাছ ক্রয় করার দায়ে দুই জনকে ১৫ দিন এবং এক জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানকালে ৬০ কেজি ইলিশ ও ৪৫ হাজার মিটার মাছ ধরার জাল আটক করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে আটক ২৩ জনকে বুধবার দুপুরে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ সংরক্ষণে ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে নিয়মিত পদ্মা নদীসহ জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রশাসনের অভিযান চলছে।
গত ৬ দিনে ইলিশ ধরার দায়ে পদ্মা নদীর শিবচর অংশে অভিযান চালিয়ে ১৩১ জন জেলেকে আটক করে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধ্বংস করা হয় ২ লাখ ৪২ হাজার মিটার ইলিশ ধরার জাল। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয় ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা, জব্দ করা হয় ২৫০ পিস ইলিশ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পদ্মা নদীর দূর্গম এলাকাতেও অভিযানে অংশ নিই। যে সকল এলাকায় মাছ বিক্রির অভিযোগ পাই সেখানেও আমাদের তৎপরতা থাকে। এরপরও কিছু অসাধু জেলেরা গোপনে মাছ ধরে বিক্রি করে থাকেন। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ইলিশ সংরক্ষণে। পুরো মৌসুমে আমাদের অভিযান জোরালোভাবেই চলবে।