২০০১ সালের জোট সরকারের নির্যাতনের হামলার চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন সোনাগাজীর নির্যাতিত আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াজি উল্যাহর পরিবার, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও সাক্ষাতের অপেক্ষা
স্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলায় নির্যাতিত সোনাগাজী উপজেলার ১নং চরমজলিশপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের ওয়াজি উল্যাহর পরিবার। জোট সরকারের ওই বছর গুলোতে সব সময়ে তারা হামলার শিকার হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাত চায় ত্যাগী নেতা ওয়াজি উল্যাহর পরিবার। আওয়ামীলীগ সমর্থন করার অপরাধে ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর লোমহর্ষক হামলা করে সন্ত্রাসী বাহিনী। সন্ত্রাসীদের হুমকীর ভয়ে কন্যা শাহিনুর আক্তার সাথীর পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। ঘরের পুরুষরা পালিয়ে বেড়ায় বিভিন্ন জায়গায়। নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করেছেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম। সন্তানদের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার ভবিষ্যৎ। বয়সের ভারে বার্ধক্যজণিত নানা রোগে বর্তমানে ওয়াজি উল্যাহ দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে পৈত্রিক সম্পদ।
ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই প্রতিপক্ষ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বাড়িতে হামলা করে ফার্নিচার ও যাবতীয় জিনিসপত্র ভাংচুর ও ব্যাপক লুচপাট করে। পরিবারের সদস্যদের আহত করে। ২০০২ সালের জুলাই মাসেও একইভাবে হামলা করে। এসব ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াজি উল্যাহর স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা (নং-১০৯/০২) করেন। মামলার আসামীদের অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এ পরিবার।
নির্যাতিত পরিবারে সন্তান আলা উদ্দিন সবুজ জানান, আমার পিতা ও মাতা আওয়ামী রাজনীতি করার কারনে আমরা প্রতিপক্ষের হামলায় জর্জরিত, আমি এখনো শরীরে ক্ষত চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছি। ২০০২ আমাকে এস এস সি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যেতে দেয় নি জোট সরকারের গুন্ডা বাহিনীরা. করা হয় আমার প্রতি নির্যাতন
আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াজি উল্যাহর স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, ওই সময় তিনিও জোট সরকারের হামলায় শারিরীক মানসিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন.যার ক্ষত আজো তিনি বয়ে বেড়াচ্চেন তার শরীরে। জান ও ইজ্জত নিয়ে শ্বশুর বাড়ি, বাপের বাড়ি ও অন্যান্য বাড়িতে পলায়ন করে নিজের ইজ্জত রক্ষা করেন। তিনি আরো জানান তৎকালীন আওয়ামীলীগ গঠিত তদন্ত কমিশনে প্রয়োজনীয় কাগজ পএ পাঠানোর পরেও তারা কোন উত্তর পান নি. বাংলাদেশ টেলিভিশন এর “ফিরে দেখা” ২০০১ সালের পর্বে ফেনীর সোনাগাজীর চিএ তে তাদের পরিবারের সাক্ষাৎ কার প্রচার করা হয়. রাবেয়া বেগম জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন আমাদের শেষ ভরসা। আমরা স্বামী এবং আমার চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি এবং চরম কস্টে দিনাতি- পাত করতেছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দলীয় সভানেত্রীর সাক্ষাত, সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।
১নং চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান, নির্যাতিত পরিবারের বিষয়ে আমরা সব কিছু জানি। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পেলে শেষ বয়সে কিছু টা শান্তিতে দিনযাপন করতে পারবেন আওয়ামিলীগের নিবেদিত নেতা ওয়াজি উল্যাহ ও তার পরিবার।এতে করে তৃণমূল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা মূল্যায়ন পেলে নতুন প্রজন্ম আওয়ামীলীগ রাজনীতির প্রতি আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন তারা।