নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে সম্রাট নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে ফার্মপাড়া রেলগেটে (লেভেল ক্রসিং) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের চালককে সংকেত দেয়ার জন্য ওই রেলগেটে গেটম্যান থাকলেও ঘটনার সময় তিনি নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। পরে নিহতের বিষয়টি জানতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে সম্রাট (১৯) তার মাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার শহরের ফার্মপাড়ায় বাড়িভাড়া করে থাকতেন। সমবায় নিউ মাকের্টের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি।
শনিবার রাতে কাজ শেষ করে ফিরছিলেন বাড়িতে। ফার্মপাড়া রেলগেটে এসে দেখেন চুয়াডাঙ্গা থেকে দর্শনামুখী একটি মালবাহী ট্রেন অতিক্রম করছে। সম্রাট অপর লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ট্রেনটির পার হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন।
হঠাৎ ছুটে আসে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস। মালবাহী ট্রেনের শব্দের কারণে সীমান্ত এক্সপ্রেসের শব্দ বুঝতে না পেরে ওই লাইনের ওপরই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
এ সময় সীমান্ত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রায় ১শ মিটার সামনে গিয়ে পড়েন সম্রাট। পরে তার শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস। কোমর থেকে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় সম্রাটের দেহ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফার্মপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেট না থাকলেও ট্রেনের চালককে সংকেত দেয়ার জন্য সবসময় একজন করে দায়িত্বে থাকেন। তবে শনিবার রাতে সংকেত দেয়ার জন্য কেউ আসেননি। গেটম্যান ছিলেন নিজের ঘরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির এসআই রইস উদ্দীন শরিফ জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।