কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ নয় রোহিঙ্গা ডাকাতকে গ্রেফতার করেছেন র্যাবের সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা কুতুপালং ক্যাম্পে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চাকমারকুল শরণার্থী শিবির থেকে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫- এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রশিদ আহমেদ (৩২), সলিম উল্লাহ (৫৫), শফিক আলম (২০), আব্দুল হামিদ (২০), মো. সাবের (৩২), মো. সালাম (৫০), মো. ইসমাইল (২৫), হারুনুর রশিদ (২৮), ফয়েজ(২২)। তারা সবাই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ডাকাত দল টেকনাফের চাকমারকুল শরণার্থী শিবিরের পাহাড়ে অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
এ সময় নয়জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি ও কিছু কিরিচ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এক নারীসহ পাচঁজন নিহত হন। এরপর থেকে র্যাব ডাকাতদের ধরতে কয়েকটি শিবিরে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে রোহিঙ্গা ডাকাতরা কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফের চাকমারকুল শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। মঙ্গলবার সকালে সেখান থকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান।