বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের জন্য কানাডা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং কানাডিয়ান নাগরিকদের ভিনদেশি প্রেমিক প্রেমিকা ও মৃত্যুপথযাত্রীদের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে দেশটি সম্প্রতি ইমিগ্রেশন মন্ত্রী মারকো ম্যানডেসিনো এবং পাবলিক সেফটি মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার এমপি এই ঘোষণা দেন।
সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখন কানাডায় আসতে পারবে। তবে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট প্রভিন্সিয়াল সরকারের অনুমোদিত কোভিড-১৯ বিষয়ক প্ল্যান’ থাকতে হবে।
এর আগে সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের যাদের ইন পার্সন ক্লাস নেই তাদের এখনি কানাডায় না আসতে পরামর্শ দিয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের যাদের অসুস্থতা কিংবা দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যুপথযাত্রী আত্মীয়-স্বজন কানাডায় বসবাস করছেন তারা এই বিধি-নিষেধের বাইরে থাকবেন।
এছাড়াও কানাডিয়ানদের বিদেশি প্রেমিক প্রেমিকা যারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তারা কানাডায় ভ্রমণ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, কোভিড বিস্তার রোধে গত মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সব বিদেশি নাগরিকদের কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরে কানাডার নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের পরিবারের নিকটতম সদস্য (ইমিডেয়েট ফ্যামিলি মেম্বারদের) এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেয়া হয়।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইমিগ্রেশন কানাডার ওয়েবসাইটে নির্ধারিত ফরম পাওয়া যাবে যার মাধ্যমে এই তিন ক্যাটাগরির আওতায় ছাড় পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। অন্যদিকে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খুলে দিতে পারে আগামী ২১ অক্টোবরের দিকে।
ইতোমধ্যে কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেছেন, কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখতে সর্বোত্তম জনস্বাস্থ্যের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি অব্যাহত রাখবে সরকার।
বিচক্ষণতার সঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাটি মার্চ মাসে প্রথম চালু হয়েছিল এবং এরপর থেকে প্রতিমাসে বাড়ানো হয়েছে। কোভিড-১৯ শুরুর প্রাক্কালে প্রথম এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হয়েছিল গত ১৮ মার্চ এবং তখন থেকেই প্রতিমাসে কানাডিয়াদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বাড়ানো হয়েছে।