রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ডিস ক্যাবল, ইন্টারনেট, টেলিফোনের লাইনসহ যত্রতত্র ক্যাবল টানানোর ফলে তারের জঞ্জালে নষ্ট হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য্য। এ অবস্থায় ঝুলন্ত তার অপসারণের মাধ্যেমে শহরের সৌন্দর্য্য ফেরাতে ১ অক্টোবর থেকে মাঠে নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ঝুলন্ত তার বিদ্যমান থাকায় শহরের সৌন্দর্য্যহানি হচ্ছে। একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক নগরী গড়ার ক্ষেত্রে ঝুলন্ত তার ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া ঝুলন্ত তারের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
পরিকল্পিতভাবে ঝুলন্ত তার মাটির নিচে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওর্য়াক (এনটিটিএন), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডিএনসিসির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গুলশান এভিনিউয়ের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে গুলশান শুটিং ক্লাব পর্যন্ত সড়কে বিদ্যমান বিভিন্ন সংস্থার ঝুলন্ত তার ১ অক্টোবর থেকে অপসারণ করা হবে। ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায়ও পর্যায়ক্রমে ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
এর আগে ঝুলন্ত তার অপসারণের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেধে দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা উত্তরে যত ঝুলন্ত তার আছে সেগুলো কেটে ফেলা হবে। ঝুলন্ত তার সরানোর জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হলো। রাস্তায় বা ল্যাম্প পোস্টে ঝুলন্ত পোস্টার বা বিজ্ঞাপন বোর্ড থাকতে পারবে না। এছাড়া শহরের দেয়ালে যারা লিখবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।