নিউজ ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের (অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি) বিজ্ঞানী দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুরের নাগরিক। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান এবং গত ১ জুলাই বাংলাদেশে তার কর্ম ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করলেও সেটা প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে তিনি ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তার ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ এক বছর।

শনিবার (২৯ আগস্ট) সকালে এসব তথ্য জানান ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। গত ১ জুলাই আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমি এমপ্লয়মেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছি, তবে বাংলাদেশ সরকার এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। অবশ্য আমাকে ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ এক বছর দেয়া হয়েছে। এমপ্লয়মেন্ট ভিসা পেয়ে গেলে ট্যুরিস্ট ভিসা অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কিছু গুজব বের হচ্ছে। গণবিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে– এসব কথা ঠিক না। বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা করছে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা পাশের জন্য। এই পাশ আশা পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশে অসংখ্য বিদেশি চাকরি করেন। তাদের যদি সমস্যা না হয়, তাহলে আমার সমস্যা হবে কেন? এমপ্লয়মেন্ট ভিসা নিতে হবে। সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটার বিষয়ে উত্তর এখনও আসেনি।’

সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্বের বিষয়ে বিজন কুমার শীল বলেন, ‘২০০২ সালে সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগদান করি। সিঙ্গাপুরে চাকরি নেয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছিলাম, যেটা নিয়ম ওখানকার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছিলাম। তবে আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *