ব্ল্যাক বেবি তরমুজের চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তরমুজচাষি কাজী আনোয়ার। নিজ গ্রাম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ২০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। মাচায় ঝুলছে সারি সারি তরমুজ। অসময়ে তরমুজের চাষ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের গ্রামের কৃষকরা।
জমিতে গিয়ে দেখা যায়, উঁচু বেডের মাটি বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। তার মাঝে গোল করে কাটা স্থানে তরমুজ গাছ লাগানো হয়েছে। মাচায় ঝুলছে তরমুজ। ছিঁড়ে না পড়ার জন্য ব্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বাতাসে সারি সারি তরমুজ দুলছে। ভালো ফলনের এই দৃশ্য দেখে খুশির ঢেউ খেলে যায় কৃষকের মুখে।
কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ইউটিউবে দেখে এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। কিশোরগঞ্জ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢাকা বেড তৈরি করেন। মাচা তৈরি করেন। এতে পোকার আক্রমণ কম হয়। প্রথমে স্থানীয় কৃষকরা তার অসময়ে এই তরমুজ চাষের বিষয়টিকে পাগলামি বলতেন। এখন ভালো ফলন দেখে সবাই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বীজ লাগানোর ১৫ দিনে ফল আসে। দুই মাসে ফল কাটা যায়। প্রতিটি তিন কেজি ওজনের বলা হলেও তরমুজ গুলো চার কেজি ওজনের হতে পারে। এই তরমুজের মণ ১৪শ’-১৬শ’ টাকা দরে বিক্রির আশা করছেন তিনি। ২০ শতক জমিতে তার ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছেন দ্বিগুণ বিক্রি করতে পারবেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, এই এলাকায় আগে তরমুজের চাষ হয়নি। বিশেষ করে অসময়ের বারোমাসি তরমুজ। আনোয়ার হোসেনকে প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা দমন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। তার ফলন দেখে ভালো লাগছে। কম সময়ে তরমুজ চাষে কৃষকরা ভালো লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছি। আনোয়ার হোসেনের আগ্রহ অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।