বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা সরকারের সঙ্গেই আছেন। আওয়ামী লীগের নেতারাই সে সময় মন্ত্রিসভা গঠন করেন। রিজভী বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে সব হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগের।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটি নতুন করে বলার আর প্রয়োজন নেই যে আওয়ামী লীগের নেতারাই রক্তাক্ত লাশ ডিঙিয়ে নতুন করে শপথের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা গঠন করে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে।’

১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আওয়ামী লীগের অভিযোগের জবাবে রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান সরকারি চাকরি করতেন। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যক্তি, প্রথম ব্যক্তি নন। যিনি সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগের সাংসদ হওয়ার কারণে অভিযুক্ত নন। প্রধানমন্ত্রীর আনুগত্য থাকলে অপরাধ মাফ হয়ে যায়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৫ আগস্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নিজেরাই জড়িত, তা দিবালোকের মতো যেমন সত্য, ঠিক তেমনিই সুপরিকল্পিতভাবে ২১ আগস্টের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের আপনজনরা জড়িত। ২১ আগস্টে বোমা হামলার পূর্বাপর ঘটনাপরম্পরায় তা সুস্পষ্ট। অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে একটি উদাহরণ হচ্ছে মুক্তাঙ্গন থেকে আওয়ামী কার্যালয়ে কেন তাঁরা সভা স্থানান্তর করেছিলেন, সেই রহস্য সম্পর্কে তাঁরা নির্বাক থাকেন।’

আওয়ামী লীগ খুনের রাজনীতির ঐতিহ্য তৈরি করেছে দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যতবারই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের খুন করেছে। গত এক যুগে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের সমর্থক শব্দ হয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সব হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *