শুধু হত্যা নয়, মসজিদ জ্বালিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। আদালতে এমন দাবি করেছেন নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।

তিনি বলেন, “আমি নন-ইউরোপিয়ানদের মাঝে ভয় জাগাতে চেয়েছিলাম। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার আগে অন্যান্য মসজিদে হামলার পরিকল্পনাও করেছিলাম।”

গত বছরের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় গুলি করে কমপক্ষে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যা করেন ট্যারেন্ট।

এ ঘটনায তার বিরুদ্ধে সোমবার শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে দেশটির আদালতে।

ওই হামলা থেকে বেঁচে থাকা ব্যক্তি ও নিহতদের স্বজনদের উপস্থিতিতে এই শুনানি হচ্ছে।

সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়ে চারদিন চলবে এই শুনানি। এতে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে যাবজ্জীবন জেল দেওয়া হতে পারে।

মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এই অস্ট্রেলিয়ান সন্ত্রাসী। সেই হত্যাদৃশ্য আবার ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে।

এ ঘটনায় নিহত হন বাংলাদেশি বেশ কয়েকজন। অল্পের জন্য রক্ষা পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকারা। এই হত্যাকাণ্ডে ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে ৫১টি হত্যা, ৪০টি হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ক্রাইস্টচার্চে সে এই হত্যালীলা চালিয়েছিল সেখানেই কোর্টহাউজে শুনানি শুরু হয়েছে। এতে উপস্থিত আছেন ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। সূত্র: স্টাফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *